Thursday, December 4, 2025

এজেসি বসু রোডের উড়ালপুলের নীচে দিনদুপুরে এক লক্ষ টাকা ছিনতাই! আতঙ্কে ব্যবসায়ী মহল

Share

এজেসি বসু রোডের উড়ালপুলের নীচে দিনদুপুরে এক লক্ষ টাকা ছিনতাই

দিনদুপুরে কলকাতার বুকে ফের দুঃসাহসিক ছিনতাইয়ের ঘটনা। শহরের অন্যতম ব্যস্ত এলাকা এজেসি বসু রোডের উড়ালপুলের নীচে প্রকাশ্য রাস্তায় এক ব্যক্তির কাছ থেকে ছিনতাই হয়ে গেল প্রায় এক লক্ষ টাকা। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে বড় প্রশ্ন।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত ব্যক্তি পেশায় একজন পাইকারি ব্যবসায়ী। তাঁর দাবি, তিনি ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে হেঁটে যাচ্ছিলেন মেয়ো রোডের দিকে। সেই সময় আচমকাই একটি বাইকে চেপে দু’জন দুষ্কৃতী এসে তাঁকে ঘিরে ধরে। একজন পিছন থেকে ধাক্কা মারে, আরেকজন সঙ্গে সঙ্গে তাঁর হাতে থাকা টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাইক ঘুরিয়ে তারা চম্পট দেয়।

ঘটনাটি ঘটে দুপুর দেড়টা নাগাদ। তখন রাস্তায় যথেষ্ট যান চলাচল ছিল, পথচারীও কম ছিল না। কিন্তু সব কিছু এত দ্রুত ঘটে যায় যে, কেউই প্রথমে কিছু বুঝে উঠতে পারেননি। ছিনতাইকারীরা হেলমেট পরে ছিল, তাই তাদের চেহারা বা মুখ চিনে রাখা সম্ভব হয়নি বলেই জানিয়েছে পুলিশ।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী সঙ্গে সঙ্গে ভবানীপুর থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। উড়ালপুলের নিচে ও আশেপাশের দোকান ও রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে দুষ্কৃতীদের পরিচয় ও গতিবিধি সম্পর্কে।

তদন্তকারী এক পুলিশ আধিকারিক জানান, “ঘটনাটি পূর্ব পরিকল্পিত বলেই মনে হচ্ছে। ব্যবসায়ীর গতিবিধি সম্ভবত আগে থেকেই নজরে রাখা হয়েছিল। তিনি কখন কোন ব্যাঙ্কে টাকা তোলেন, তা দুষ্কৃতীদের জানা ছিল।”

এদিকে এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন শহরের ব্যবসায়ী মহল। অনেকেই বলছেন, দিনে দুপুরে এমন ঘটনা যদি শহরের কেন্দ্রে ঘটতে পারে, তবে অন্যত্র আরও বিপদ হতে পারে। এলাকার কয়েকজন দোকানদার জানিয়েছেন, সম্প্রতি ছোটখাটো ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়েছে, কিন্তু পুলিশের নজরদারি বা তৎপরতা কমছে বলেই তাঁদের অভিযোগ।

নাগরিকরাও বলছেন, ব্যস্ত রাস্তার নিচে যেখানে প্রতিনিয়ত পুলিশের টহল থাকার কথা, সেখানে কিভাবে এমন দুঃসাহসিক ছিনতাই ঘটল? প্রশ্ন উঠছে, শহরের বুকে সাধারণ মানুষ কতটা নিরাপদ?

পুলিশের দাবি, তারা এই ঘটনার তদন্তে পুরোপুরি মনোনিবেশ করেছে এবং দ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতার করতে চায়। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি বাইকের রেজিস্ট্রেশন নম্বর চিহ্নিত করা হয়েছে যেগুলি ঘটনাস্থলের কাছাকাছি সময়ের মধ্যে দেখা গিয়েছে। প্রয়োজন হলে ছবির মাধ্যমে চিহ্নিত করার জন্য ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে বসানো হবে।

এই ঘটনার জেরে কলকাতার নাগরিক ও ব্যবসায়ীদের মনে যে ভয়ের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে, তা বলাই বাহুল্য। তবে পুলিশ আশ্বাস দিয়েছে, খুব শীঘ্রই দুষ্কৃতীদের ধরা হবে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখন দেখার, প্রশাসনের সেই আশ্বাস কতটা বাস্তবায়িত হয়।

মায়ের খরচ চালাতে অস্বীকৃতি! আদালতের রায়, খোরপোশ ঠিক করবেন কাল্যাণীর এসডিও

Read more

Local News