ডাল-পোস্তর জাদু!
বাঙালির ঘরের অন্যতম কমফর্ট ফুড— গরম ভাতে ডাল আর পোস্ত। তবে এক বাটিতে ডাল, আরেকটায় পোস্ত আলাদা করে পরিবেশন না করে, যদি একই সঙ্গে রান্না হয়ে যায়, আর তার সঙ্গে থাকে সর্ষের তেল আর কাঁচালঙ্কার টান টান ঝাঁজ? তাহলে তো ভাতের সঙ্গে আর কিছুই দরকার পড়ে না! এমনই এক সহজ, ঝটপট এবং সুস্বাদু পদ হল “ডালপোস্ত”— যেখানে ডাল আর পোস্তর বন্ধনে তৈরি হবে এক অনন্য স্বাদ।
কেন খাবেন ডালপোস্ত?
এই রান্না শুধুই সময় বাঁচায় না, বরং সাধারণ উপকরণেই এনে দেয় অসাধারণ স্বাদ। একদিকে ডালের প্রোটিন, অন্যদিকে পোস্তর ক্যালসিয়াম আর ওমেগা ফ্যাট— স্বাস্থ্য আর স্বাদের এক দুর্দান্ত মিশেল।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
- মুগ ডাল – ½ কাপ
- মুসুর ডাল – ½ কাপ
- পোস্ত (পপি সিডস) – ২ টেবিলচামচ
- কাঁচালঙ্কা – ৩টি
- সর্ষের তেল – ৩-৪ টেবিলচামচ (রান্নার জন্য), পরিবেশনের সময় অতিরিক্ত ১ টেবিলচামচ
- পাঁচফোড়ন – ½ চা চামচ
- পেঁয়াজ কুচি – ১টি (মাঝারি মাপের)
- নুন – স্বাদমতো
- চিনি – সামান্য
কীভাবে তৈরি করবেন?
১. প্রস্তুতি:
ডাল দুটি ভালভাবে ধুয়ে আধ ঘণ্টা জলে ভিজিয়ে রাখুন। আলাদা করে পোস্তও জল দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন।
২. ডাল ভাপানো:
মোমো স্টিমার বা কোনও ভাপানোর পাত্রে ১৫ মিনিট মতো ডাল দুটো স্টিম করুন। এতে ডালের টেক্সচার বজায় থাকবে, আর সময়ও বাঁচবে।
৩. পোস্ত বাটা:
ভেজানো পোস্ত আর কাঁচালঙ্কা একসঙ্গে মিহি করে বেটে নিন। চাইলে একটু জল ব্যবহার করতে পারেন।
৪. রান্না:
একটি কড়াইতে ২ টেবিলচামচ সর্ষের তেল গরম করুন। তাতে পাঁচফোড়ন ফোড়ন দিন। গন্ধ বেরোলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে নেড়ে দিন যতক্ষণ না পেঁয়াজ নরম হয়।
এরপর ভাপে রান্না করা ডাল এবং বাটা পোস্ত দিন।
নুন-চিনি মেশান। প্রয়োজনে সামান্য জল যোগ করে মাঝারি আঁচে রান্না করুন যতক্ষণ না মিশ্রণটি হালকা শুকনো আর মশলাদার হয়ে ওঠে।
৫. ফিনিশিং টাচ:
রান্নার শেষে ১ টেবিলচামচ কাঁচা সর্ষের তেল ও কাঁচালঙ্কা কুচি ছড়িয়ে মেখে নিন।
পরিবেশন পরামর্শ
এই ডালপোস্ত গরম ভাতের সঙ্গে খাওয়ার জন্য একেবারে আদর্শ। এতে আলাদা করে ভাজা বা অন্য তরকারির প্রয়োজন হয় না। সরষের তেলের ঝাঁজ আর পোস্তর নরম ঘ্রাণ যেন মুখে ছড়িয়ে দেয় বাড়ির স্বাদ।
চাইলে এই পদ আরও সুস্বাদু করে তুলতে পারেন নিমপাতা ভাজা বা পেঁয়াজভাজা-র সঙ্গে।
শসা নয়, এবার লাউয়ের রায়তা! পুষ্টিবিদ বলছেন, উপকারে অনেকটাই এগিয়ে ‘লউকি’র ছাপা রেসিপি

