একঘেয়ে দই খেতে আর ভালো লাগছে না?
দই আমাদের শরীরের জন্য এক দারুণ উপকারী খাবার। এটি প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ, যা হজমে সাহায্য করে এবং স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো। তবে মাঝে মাঝে একঘেয়ে টক দই খেয়ে যদি আপনার মুখে অরুচি চলে আসে, তবে শাহি দই-ভাত হতে পারে এক আদর্শ সমাধান। তামিলনাড়ু, তেলঙ্গানা, কেরল ও অন্ধ্রপ্রদেশের মতো দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলোতে দই-ভাত একটি জনপ্রিয় খাবার। এই পদটি সাদা ভাতের সঙ্গে টক দই, ডাল এবং নানা ধরনের মশলা মিশিয়ে তৈরি করা হয়, যা খেতে খুবই সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর।
আজকে আমরা আপনাকে শেখাবো কীভাবে খুব সহজেই শাহি দই-ভাত তৈরি করা যায়। একবার তৈরি করে দেখুন, এই খাবারটি আপনাকে নতুন করে দই খাওয়ার আনন্দ দেবে।
শাহি দই-ভাতের উপকরণ:
- ১ কাপ সাদা ভাত
- ২ কাপ টক দই
- ১ চা চামচ তেল
- ১ চা চামচ সর্ষে
- ৪-৬টি কারিপাতা
- ১-২টি শুকনো লঙ্কা
- আধ চা চামচ ছোলার ডাল
- ১ চিমটে হিং
- স্বাদ মতো নুন
- ১ চা চামচ চিনি
- ১ চামচ কুচানো ধনেপাতা
- এক মুঠো বেদানা (ঐচ্ছিক)
- কাজু, কিশমিশ (ঐচ্ছিক)
প্রণালী:
১. দই প্রস্তুত করা: প্রথমে একটি বাটিতে টক দই ভালোভাবে ফেটিয়ে নিন। দই যেন খুব টক না হয়, তার দিকে খেয়াল রাখুন।
২. ভাত মেশানো: এরপর, ফেটানো দইয়ের মধ্যে সেদ্ধ সাদা ভাত মিশিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। দই যেন পুরোপুরি ভাতের মধ্যে মিশে যায়, সেইভাবে নেড়ে নিন।
৩. ফোড়ন তৈরি: এখন একটি কড়াইতে তেল গরম করুন। তাতে সর্ষে, কারিপাতা, শুকনো লঙ্কা, এবং হিং ফোড়ন দিন। এই ফোড়নটি খাবারে একটা অসাধারণ সুগন্ধ এবং মজাদার স্বাদ যোগ করে।
৪. ছোলার ডাল ও মশলা যোগ করা: এবার এতে ছোলার ডাল, স্বাদ অনুযায়ী নুন ও চিনি মেশান। এটি মিশে যাওয়ার পর, ভালো করে নেড়ে নিন।
৫. দই-ভাত মিশানো: এবার দই মাখানো ভাত কড়াইতে যোগ করুন এবং সাবধানে নেড়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। এতে সব মশলা এবং ভাত একে অপরের সঙ্গে সুন্দরভাবে মিশে যাবে।
৬. পরিবেশন: তৈরি হওয়া দই-ভাত একটি পরিবেশন থালায় তুলে দিন। ওপর থেকে কুচানো ধনেপাতা এবং বেদানা ছড়িয়ে দিন। চাইলে কাজু ও কিশমিশও ছড়িয়ে দিতে পারেন, যা খাবারের মধ্যে মিষ্টি আর কৃমির স্বাদ এনে দেবে।
শাহি দই-ভাতের বিশেষত্ব:
এই খাবারটি শুধু মজাদারই নয়, সুস্বাদু এবং পুষ্টিকরও। দই, ভাত, মশলা ও ডাল মিশিয়ে তৈরি এই পদটি শরীরের জন্য উপকারী এবং হজমে সাহায্য করে। এর মধ্যে থাকা টক দই আমাদের পেটের ভালো স্বাস্থ্য বজায় রাখে, এবং ডাল শরীরের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে। এছাড়া, ভাতের মধ্যে থাকা শক্তি আমাদের দিন শুরু করতে সহায়তা করে।
তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, শাহি দই-ভাত খেতে স্বাদে পূর্ণ এবং মুখের অরুচি দূর করে। এই খাবারটি আপনি একবার তৈরি করে দেখুন, এরপর এটি আপনার রোজকার খাবারের তালিকায় থাকতে পারে।
আপনার পরিবারের সবাইকে চমকে দিতে আজই বানিয়ে ফেলুন শাহি দই-ভাত।
সইফ আলি খান: ৬টা কোপ, শিরদাঁড়ার পাশেই গভীর ক্ষত সইফের, অবস্থা কি আশঙ্কাজনক?