Monday, December 1, 2025

“এই দৃশ্য ধর্ষণ নয়, ভালোবাসার রূপান্তর” — বিতর্কিত মন্তব্যে তমন্না ভাটিয়া

Share

বিতর্কিত মন্তব্যে তমন্না ভাটিয়া!

তমন্না ভাটিয়ার অভিনীত এক পুরনো দৃশ্য আবারও নতুন করে বিতর্কের মুখে। এসএস রাজামৌলির পরিচালিত সুপারহিট ছবি বাহুবলী–তে অবন্তিকা চরিত্রে তমন্নার অভিনীত একটি বিশেষ দৃশ্যকে নিয়ে বছরের পর বছর ধরেই সমালোচনা চলেছে। সেখানে দেখা যায়, যুদ্ধের মধ্যে এক পুরুষ যোদ্ধা (বাহুবলী চরিত্রে প্রভাস) জোর করে অবন্তিকার ঠোঁটে লিপস্টিক দিচ্ছেন, চোখে কাজল এঁকে দিচ্ছেন এবং তাঁর পোশাক খুলে দিচ্ছেন — এই সব কিছুই অবন্তিকার অমতে, তাঁর ইচ্ছের বিরুদ্ধে। এমন দৃশ্য দেখে দর্শকদের একাংশের মত, এটি একপ্রকার অসম্মত যৌন আগ্রাসন বা সরাসরি বললে, ধর্ষণের ছায়াচিত্র।

এই নিয়ে বিতর্ক এতটাই চরমে পৌঁছয় যে এক সময় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় শিরোনামে— “অবন্তিকার ধর্ষণ”। কিন্তু এত কিছুর পরেও এই দৃশ্যকে সেইভাবে দেখতে রাজি নন তমন্না ভাটিয়া। বরং তাঁর মতে, এটি ছিল এক নারীর নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কারের গল্প, এক পুরুষের মাধ্যমে নিজের ভেতরের সৌন্দর্যকে ফিরে পাওয়ার অনুভব।

এক সাক্ষাৎকারে তমন্না বলেন, “কারও চোখে যৌনতা বা শরীর খারাপ বিষয় হতে পারে। কিন্তু সেটা তো সম্পূর্ণ তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার। রাজামৌলি স্যর এই দৃশ্য দিয়ে একটা সুন্দর অনুভূতি তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। কিন্তু অনেকেই তা ভুলভাবে দেখেছেন। আমি এই দৃশ্যকে কোনওভাবেই ধর্ষণ মনে করি না। বরং মনে করি, অবন্তিকা সেই পুরুষটির মধ্যে নিজেকে খুঁজে পেয়েছিল।”

তিনি আরও যোগ করেন, “যারা এই দৃশ্যকে যৌন হেনস্থা মনে করছে, তারা হয়তো নারীর সম্মতি বা ভেতরের জটিলতা বুঝতে পারেনি। অবন্তিকা চরিত্রটি অনেক ব্যথা পেয়েছে, ভালোবাসা থেকে দূরে ছিল। এই পুরুষ তাকে আবার ভালোবাসার অনুভূতি ফিরিয়ে দিয়েছিল, তাকে নিজের শরীর ও অস্তিত্ব নিয়ে গর্ব করতে শিখিয়েছিল।”

তমন্না বলেন, পরিচালক রাজামৌলি এই দৃশ্যের ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন তাঁর কাছে অনেক আগেই। তাঁর ভাষায়, “অবন্তিকা একজন মর্মাহত নারী, যিনি ভালোবাসা চান, কিন্তু ভয় পান। এই চরিত্র ভাঙা, তবুও ভেতরে সুন্দরের খোঁজে তৃষ্ণার্ত। বাহুবলী অবন্তিকাকে শুধুই স্পর্শ করেননি, তিনি তাকে অনুভব করিয়েছিলেন, যে সে কতটা সুন্দর, কতটা মূল্যবান।”

এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন, কারও ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গিকে তিনি সম্মান করেন, কিন্তু নিজে শিল্পের চোখে এই দৃশ্যকে কখনওই যৌন হিংসা বলে দেখেননি।

সমালোচনা থামেনি। তবুও তমন্নার মতে, এই বিতর্ক আসলে ভাবনার পার্থক্য থেকে সৃষ্টি হয়। একজন শিল্পীর দৃষ্টিভঙ্গি সবসময় সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না, এবং তিনি সেই মতবিরোধ মেনে নেন।

তমন্নার আগামী ছবি মুক্তি পেতে চলেছে সিদ্ধার্থ মলহোত্রের বিপরীতে। তবে তার আগেই এই পুরনো বিতর্কে মুখ খোলায় নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছেন তিনি। প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে— দর্শক কি আদৌ শিল্পকে শুধু শিল্প হিসেবেই দেখতে প্রস্তুত? নাকি ভাবনায় আরও অনেক কাজ বাকি?

চুল পড়া রোধে শরবতের জাদু: খেতেও হবে, বানাতেও হবে ঠিকমতো!

Read more

Local News