উমা দাশগুপ্তের স্মৃতিতে ‘দুর্গা’
সোমবার উমা দাশগুপ্তের মৃত্যুসংবাদ শোনার পর, যাদবপুর বিদ্যাপীঠের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মুখে উঠে আসছিল নানা স্মৃতির টুকরো। স্কুলে শিক্ষকতা করার সময়, বিশেষ করে শিশু ও প্রাথমিক বিভাগের শিক্ষিকা শম্পা দাসের কাছে উমা ছিলেন এক অনুপ্রেরণার উৎস। তিনি যখন প্রথম উমাকে ক্লাসে দেখতে পান, তখন মনে হয়েছিল তিনি সেলিব্রিটি ‘পথের পাঁচালী’র দুর্গা। কিন্তু পরে দেখা যায়, ক্লাসের শেষে কীভাবে উমা ছোটদের সঙ্গে গল্পে মেতে উঠতেন, তা দেখে তার রাশভারী ভাবের ভ্রম কেটে যায়।
১৯৮৪ থেকে ২০০০ পর্যন্ত যাদবপুর বিদ্যাপীঠে শিক্ষকতা করেছেন উমা দাশগুপ্ত। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রূপশ্রী সাহা জানান, উমা অবসর নেওয়ার পরেও স্কুলের সঙ্গে তার সম্পর্ক অটুট ছিল। মাঝে মাঝে এসে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে গল্প করতেন, বিশেষত ‘পথের পাঁচালী’-এর শুটিংয়ের কিছু অজানা কাহিনি শেয়ার করতেন। শম্পা দাস বলেছিলেন, একদিন তিনি উমাকে প্রশ্ন করেছিলেন, “আপনি যখন দুর্গাকে দিচ্ছিলেন, তখন আর কষ্ট অনুভব করতেন না?” উমা তখন হেসে বলেছিলেন এবং এই দৃশ্যের আড়ালে থাকা শুটিংয়ের একটি মজাদার কাহিনি বলেছিলেন।
স্কুলে তিনি ছাত্রদের খুব কাছে ছিলেন, কখনোই তাদের কাছে প্রিয় শিক্ষিকা। অবসর গ্রহণের পরেও, তাদের দেখতে স্কুলে আসতেন। রূপশ্রী সাহা জানান, উমার সম্মানে স্কুলে একটি স্মরণসভা আয়োজন করা হবে। তবে, তার মৃত্যু সত্ত্বেও, ‘পথের পাঁচালী’ দেখতে দেখতেই দুর্গা কখনো মরবে না, এই বিশ্বাসই শিক্ষকদের মনে শক্তি জোগায়।