উত্তরবঙ্গের পুনর্গঠনে ফের মুখ্যমন্ত্রী!
পুজোর পরপরই বন্যা ও ভূমিধসে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। সেই সময় সরেজমিনে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সফরেই তিনি জানিয়েছিলেন, অল্প দিনের মধ্যেই আবার ফিরে এসে পুনর্বাসন ও পুনর্গঠনের কাজ কতদূর এগিয়েছে তা নিজে দেখে নেবেন।
সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সোমবার ফের উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। দমদম বিমানবন্দর থেকে তিনি রওনা হবেন শিলিগুড়ির উদ্দেশে। বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামার পরই সরাসরি উত্তরবঙ্গের সচিবালয় ‘উত্তরকন্যা’-য় পৌঁছে তিনি বন্যা-ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর প্রশাসনিক বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন।
কোন কোন জেলা থাকছে আলোচনায়?
বৈঠকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে—
- দার্জিলিং
- কালিম্পং
- জলপাইগুড়ি
- কোচবিহার
- আলিপুরদুয়ার
এই সমস্ত জেলার জেলাশাসক, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনিক কর্তাদের।
তবে দূরত্বের কারণে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারের প্রতিনিধিরা ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন।
কি থাকছে মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচিতে?
- ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর পুনর্বাসন পর্যালোচনা
- ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত হিসাব সংগ্রহ
- পরিষেবা পুনঃস্থাপনের অগ্রগতি যাচাই
- জেলাশাসক ও উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক
- শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ এলাকায় নতুন শিল্প প্লান্টের উদ্বোধন (সম্ভাব্য)
নবান্ন সূত্রে জানা গেছে—
১২,০০০-এর বেশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে নতুন বাড়ি নির্মাণে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।
প্রত্যেক পরিবার পাবে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে।
এই সফরের তাৎপর্য
রাজ্য প্রশাসনের মতে—
মুখ্যমন্ত্রীর সরাসরি নজরদারি
⬇️
পুনর্বাসনের গতি বাড়াবে
⬇️
এবং দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মনোবল ফের শক্তিশালী করবে।

