Friday, January 31, 2025

উচ্চ প্রাথমিকের চতুর্থ কাউন্সেলিং ফেব্রুয়ারিতে করার দাবি

Share

উচ্চ প্রাথমিকের চতুর্থ কাউন্সেলিং

উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরির জন্য দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষমাণ প্রার্থীদের জন্য নতুন এক দুশ্চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, তৃতীয় কাউন্সেলিংয়ের পর চতুর্থ কাউন্সেলিংয়ের প্রয়োজনীয়তা। কিছুদিন আগে, বিভিন্ন কারণে উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা একটি নতুন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন, যেখানে অনেক প্রার্থী সুপারিশপত্র পাওয়ার পরেও নতুন স্কুলে যোগ দিতে রাজি হননি।

তবে এই নতুন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন কারণে। কিছু প্রার্থী ইতিমধ্যেই নিজেদের প্রাথমিক স্কুলে কাজ করে যাচ্ছেন, যেখানে চাকরি তাদের বাড়ির কাছে। অন্যদিকে, নতুন উচ্চ প্রাথমিক স্কুলের সুযোগ হলেও তা বাড়ি থেকে বেশ দূরে অবস্থিত, এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের পরিবারও এই পরিবর্তন মেনে নিতে পারছে না। এর ফলে, প্রার্থীরা নতুন স্কুলে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।

এমনই এক প্রার্থী, সঙ্গীতা কোলে মৌড়িগ্রাম থেকে জানিয়েছেন, “আমি বর্তমানে প্রাথমিক স্কুলে চাকরি করছি, যা আমার বাড়ির খুব কাছে। নতুন যে উচ্চ প্রাথমিক স্কুলে সুযোগ পেলাম, সেটা বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে। ফলে আমি স্কুলে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” একইভাবে, পৌলমী বিশ্বাস, যিনি নদিয়ার একটি স্কুলে চাকরি করছেন, জানিয়েছেন, “আমার বর্তমান প্রাথমিক স্কুল বাড়ির কাছে। নতুন উচ্চ প্রাথমিক স্কুলটি বেশ দূরে, তাই স্কুলে গিয়েও যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

এই পরিস্থিতিতে স্কুল সার্ভিস কমিশন জানিয়েছে, যে সমস্ত প্রার্থী সুপারিশপত্র পেয়ে স্কুলে গিয়েও যোগদান করেননি, তাঁদের পদগুলি নথিভুক্ত হচ্ছে এবং পরবর্তী কাউন্সেলিংয়ে ওই শূন্য পদে নতুন প্রার্থীদের ডাকা হবে। এদিকে, তৃতীয় কাউন্সেলিং ২৮ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। এর ভিত্তিতে দ্বিতীয় কাউন্সেলিংয়ে অনুপস্থিত প্রার্থীদের জন্য তৈরি হওয়া শূন্য পদে প্রার্থীদের ডাকা হবে। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত এই প্রার্থীদের জন্য চতুর্থ কাউন্সেলিংয়ের কথা ভাবা হচ্ছে।

‘পশ্চিমবঙ্গ আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থী মঞ্চ’-এর সভাপতি সুশান্ত ঘোষ জানিয়েছেন, “আমরা জানতে পেরেছি, এমন প্রার্থীর সংখ্যা ২০০-র কাছাকাছি। আমাদের দাবি, তৃতীয় কাউন্সেলিংয়ের পর ফেব্রুয়ারির শুরুতে মেধা তালিকায় বাকি ১০৭৯ জন অপেক্ষমাণ প্রার্থীকে ডাকা হোক।”

এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পর, প্রশ্ন উঠেছে কেন প্রার্থীরা সুপারিশপত্র পাওয়ার পরেও নতুন স্কুলে যোগদান থেকে বিরত থাকছেন। কিছু প্রার্থী পরিবার ও গন্তব্যের সুবিধার কথা ভেবে পুরোনো স্কুলে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আবার কিছু প্রার্থী চাকরি শুরুর জন্য দূরবর্তী স্কুলে যাওয়া পছন্দ করছেন না।

এমন পরিস্থিতি প্রার্থী এবং কমিশনের জন্য নতুন এক চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে। যদি ২৮ জানুয়ারি থেকে তৃতীয় কাউন্সেলিং শুরু হয়, তবে পরবর্তী কাউন্সেলিং নিয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে, ভবিষ্যতে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে আরও কিছু সময় প্রয়োজন, বিশেষত যারা নতুন স্কুলে যোগ দিতে চান, তাঁদের সুবিধা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ।

এখন সবকিছু নির্ভর করছে পরবর্তী কয়েকদিনের উপর, এবং যে সমস্ত প্রার্থীরা শেষ পর্যন্ত এই সুযোগ পাবেন, তাদের জন্য এটি হবে এক নতুন দিগন্তের সূচনা।

Read more

Local News