ইসকন ভক্তদের অনুদানের টাকা নিয়ে পলাতক কর্মী
মথুরার ইসকন মঠে ভক্তদের দেওয়া অনুদানের লক্ষাধিক টাকা এবং রসিদ বই নিয়ে পলাতক হয়েছেন মঠের এক কর্মী। অভিযুক্তের নাম মুরলীধর দাস। ২৭ ডিসেম্বর ঘটে যাওয়া এই চুরির ঘটনা সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত এবং অভিযোগ
মথুরার পুলিশ সুপার অরবিন্দ কুমার জানিয়েছেন, ২৭ ডিসেম্বর মথুরা ইসকনের প্রধান অর্থ আধিকারিক বিশ্বনাম দাস থানায় চুরির অভিযোগ জানান। অভিযোগে বলা হয়, ইসকন মঠের অনুদানের টাকা এবং রসিদ বই উধাও হয়েছে। প্রথমে মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হলেও, পরে শুক্রবার গভীর রাতে এফআইআর দায়ের করা হয়।
মুরলীধরের ভূমিকা
ইসকন মঠের জনসংযোগ আধিকারিক রবিলোচন দাস জানিয়েছেন, মুরলীধর দাস মূলত ভক্তদের দেওয়া অনুদানের টাকা সংগ্রহের দায়িত্বে নিযুক্ত ছিলেন। ভক্তদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করার পর নির্দিষ্ট সময় অন্তর সেই টাকা মঠ কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়া তাঁর কাজ ছিল। জমা দেওয়া টাকার অঙ্ক রসিদে থাকা টাকার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হতো।
তবে ২৭ ডিসেম্বর মুরলীধর আর টাকা জমা না দিয়ে অনুদানের টাকা এবং ৩২ পাতার একটি রসিদ বই নিয়ে পলাতক হন। রবিলোচন জানান, মুরলীধর ঠিক কত টাকা নিয়ে পালিয়েছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিষয়টি তদন্তাধীন।

অভিযুক্তের পরিচয় এবং অবস্থান
থানায় দায়ের হওয়া এফআইআরে জানা যায়, অভিযুক্ত মুরলীধর দাস, আসল নাম নিমাই চাঁদ যাদব, মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে, তিনি শুধু টাকাই নয়, রসিদ বইও সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন, যা ভক্তদের দেওয়া টাকার হিসাব রাখতে ব্যবহৃত হতো।
পুলিশ মুরলীধরকে গ্রেপ্তার করার জন্য তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে। তাদের লক্ষ্য চুরি হওয়া টাকা এবং রসিদ বই উদ্ধার করা।
ইসকন চুরির আগের ঘটনা
ইসকন মঠে অনুদানের টাকা চুরির ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগে সৌরভ নামে এক ব্যক্তি একইভাবে ভক্তদের দেওয়া টাকা এবং রসিদ বই চুরি করে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তবে কর্তৃপক্ষ টাকা উদ্ধার করার আগেই সৌরভের মৃত্যু হয়।
পুলিশের পদক্ষেপ এবং তদন্ত
মথুরা পুলিশ জানিয়েছে, মুরলীধর দাসের পলাতক হওয়ার ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চালানো হচ্ছে। তারা জানিয়েছেন, মুরলীধরের অবস্থান শনাক্ত করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
উপসংহার
ইসকন মঠের মতো পবিত্র স্থানে ভক্তদের দেওয়া অনুদানের টাকা চুরির ঘটনা ভক্তদের মনে ক্ষোভ এবং হতাশা সৃষ্টি করেছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তদন্তে সব তথ্য পরিষ্কার হবে এবং দোষীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বেঙ্গালুরুতে আট মাসের শিশুর শরীরে এইচএমপি ভাইরাসের সন্ধান: কী জানাচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর?

