আলু, পেঁয়াজ এবং শীতকালীন সবজির দাম বৃদ্ধি নিয়ে যাতে বাজারে কোনো কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি না হয়, তা নিশ্চিত করতে কলকাতা, হাওড়া এবং বারাসতের বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালাল রাজ্যের টাস্ক ফোর্স। শুক্রবার সকালে এই পরিদর্শনে টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের সঙ্গে ছিলেন জেলা কৃষি বিপণন দফতরের আধিকারিক এবং পুলিশ। এই অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল বাজারের মজুতদারদের কার্যকলাপ নজরদারি করা এবং খুচরা দামের প্রকৃত অবস্থা বোঝা।
বাজার পরিদর্শন এবং দামের হালহকিকত
এ দিন মানিকতলা বাজার এবং শ্রীমানি মার্কেটে যান টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা। টাস্ক ফোর্সের অন্যতম সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে জানান,
- আলুর দাম: কেজি প্রতি ₹২৬
- পেঁয়াজের দাম: কেজি প্রতি ₹৪০
- ডিমের দাম: প্রতি পিস ₹৬.৫০ থেকে ₹৭
- মুরগির মাংসের দাম: কিছুটা কমেছে
তবে কড়াইশুঁটির দাম কেজি প্রতি ₹৬০ ছিল, যা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। রবীন্দ্রনাথ কোলে ব্যাখ্যা করেন যে, বাজারে ভিন্ রাজ্যের কড়াইশুঁটি থাকায় দাম বেশি। তবে রাজ্যের কড়াইশুঁটি বাজারে প্রবেশ করলেই দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

হাওড়ার বাজারে পরিদর্শন
হাওড়ার কদমতলা বাজার, কালীবাবুর বাজার এবং শিবপুর বাজারেও অভিযান চালানো হয়। জেলা কৃষি বিপণন দফতরের আধিকারিকরা পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী:
- জ্যোতি আলু: কেজি প্রতি ₹২৬-₹২৮
- চন্দ্রমুখী আলু: কেজি প্রতি ₹৩৫-₹৪০
- পেঁয়াজ: কেজি প্রতি ₹৩০-₹৪০
- বেগুনের দাম: কিছুটা কমেছে
তারা জানান, আনাজের দামে বড়সড় কোনো অস্বাভাবিকতা ধরা পড়েনি এবং কৃত্রিম সংকট তৈরি করার কোনো চেষ্টা নজরে আসেনি।
বারাসতের বাজারে অভিযানের ফলাফল
বারাসতের হৃদয়পুর, হরিতলা, কাছারি এবং হেলাবটতলা বাজারেও টাস্ক ফোর্সের অভিযান চলে। এখানকার বাজারগুলিতে আনাজের দামে কিছুটা তারতম্য দেখা গেছে। এই সমস্যার সমাধানে প্রতিটি দোকানে নির্দিষ্ট বাজারদর স্পষ্টভাবে প্রদর্শনের নির্দেশ দেওয়া হয়।
মূল্যবৃদ্ধি রোধে সচেতনতা ও নজরদারি
এই অভিযানের মাধ্যমে প্রশাসনের মূল উদ্দেশ্য হলো:
- বাজারে মজুতদারদের কার্যকলাপের ওপর নজরদারি রাখা।
- কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়ানোর প্রবণতা রোধ করা।
- সাধারণ মানুষের কাছে বাজারদর স্বচ্ছ রাখা।
অভিযানের প্রভাব
এই অভিযান জনসাধারণের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে এনেছে। ক্রেতারা মনে করছেন, প্রশাসনের নজরদারির ফলে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরির প্রবণতা কমবে। বিক্রেতারাও স্বচ্ছতার সঙ্গে ব্যবসা করতে উৎসাহী।
উপসংহার
শীতকালীন আনাজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজ্য প্রশাসনের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। নিয়মিত নজরদারি এবং বাজারে স্বচ্ছতা বজায় রাখলে দাম বৃদ্ধি রোধ করা সম্ভব হবে। টাস্ক ফোর্সের এমন অভিযান বাজার ব্যবস্থাকে আরও নিয়ন্ত্রিত ও সুশৃঙ্খল করতে সহায়ক হবে।
প্রাতরাশে মুচমুচে স্বাদ! ডিম ও ভাতের মিশ্রণে তৈরি করুন খাস্তা ওমলেট

