Monday, December 1, 2025

আলিয়ার সাফল্যের নেপথ্যে ঠাকুমা শিরিনের হাত! নাতনি রাহাকে নিয়েও ভবিষ্যদ্বাণী মহেশ ভট্টের

Share

আলিয়ার সাফল্যের নেপথ্যে ঠাকুমা শিরিনের হাত!!

ব্যক্তিগত জীবন হোক বা পারিবারিক সাফল্য, সব নিয়েই খোলাখুলি কথা বলতে ভালোবাসেন বলিউডের বর্ষীয়ান পরিচালক মহেশ ভট্ট। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর মেয়েরা আজ যে জায়গায় পৌঁছেছেন, তার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রয়েছে তাঁর মা শিরিন মহম্মদ আলির।

মহেশের বাবা নানাভাই ভট্ট ছিলেন গুজরাতি ব্রাহ্মণ এবং মা শিরিন ইসলাম ধর্মাবলম্বী। দুই ধর্মের মিশেলে বড় হওয়া মহেশ বহুবার বলেছেন, “আমি আমার জীবনে দুই ধর্মের সেরা দিকগুলি আত্মস্থ করেছি।” তবে পরিবারের সাফল্যের গল্পে তিনি নিজের মায়ের জিনকে বেশি গুরুত্ব দেন। তাঁর কথায়, “আমি গর্বিত যে আমাদের পরিবারে মুসলিম জিনের আধিক্য রয়েছে। এটাই ভারতের সৌন্দর্য — নানা ধর্ম, জাতি, সংস্কৃতির মানুষ একসঙ্গে থেকে একে অপরকে সমৃদ্ধ করে তোলে।”

ভট্ট পরিবারের মেয়েদের সাফল্য বলিউডে ঈর্ষণীয়। পুজা ভট্ট নব্বইয়ের দশকে ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী। শাহিন ভট্ট নিজের জায়গা তৈরি করেছেন লেখক হিসেবে। আর আলিয়া ভট্ট আজ বলিউডের প্রথম সারির তারকা, যিনি মাত্র ৩০ বছর বয়সেই বহু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন। মেয়ের এই উত্থান নিয়ে মহেশ বলেন, “আলিয়া এমন একজন মেয়ে, যে নিজের শর্তে জীবন কাটায়। ওর দৃঢ়তা আর আত্মবিশ্বাসই ওকে এখানে এনেছে।”

তবে এখানেই থেমে থাকেননি মহেশ। নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি হিসেবে এখন পরিবারের আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছেন আলিয়া ও রণবীর কাপুরের কন্যা রাহা। মাত্র কয়েক বছরের হলেও নাতনিকে নিয়ে মহেশের প্রত্যাশা আকাশছোঁয়া। তাঁর বিশ্বাস, রাহা একদিন আলিয়া ও রণবীরকেও ছাপিয়ে যাবে।

পরিচালকের কথায়, “প্রতিটি প্রজন্ম আগের তুলনায় নতুন উদ্যম নিয়ে আসে এবং আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে যায়। রাহার মধ্যে যে জীবনশক্তি ও তেজ আমি দেখেছি, তা সচরাচর পাওয়া যায় না। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, একদিন সে তার বাবা-মাকেও ছাড়িয়ে যাবে।”

মহেশের এই মন্তব্য শুধু পরিবারের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী বার্তাই নয়, ভারতীয় সমাজের বৈচিত্র্য ও মিলনের এক সুন্দর উদাহরণও বটে। তিনি মনে করেন, ভিন্ন ধর্ম ও সংস্কৃতির মিশ্রণই তাঁদের পরিবারকে শক্তিশালী করেছে। শিরিন মহম্মদ আলির জিন ও শিক্ষাই আজ তাঁদের পরিবারের মেয়েদের সাফল্যের ভিত গড়ে দিয়েছে।

আলিয়া আজ বলিউডে যে উচ্চতায় পৌঁছেছেন, তা কোনও কাকতালীয় ঘটনা নয়। মহেশের মতে, এটি এক দীর্ঘ উত্তরাধিকারের ফল, যার শিকড় তাঁর মা শিরিনের মধ্যেই নিহিত। আর সেই উত্তরাধিকারের ধারাবাহিকতাই আগামী দিনে আরও উজ্জ্বল করে তুলবে রাহা।

আজ যখন ভট্ট পরিবারের নাম বলিউডে সাফল্যের প্রতীক, তখন মহেশের এই বক্তব্য নতুন করে মনে করিয়ে দেয় — সাফল্যের পেছনে থাকে পারিবারিক উত্তরাধিকার, সংস্কৃতির বৈচিত্র্য আর প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে এগিয়ে চলার অদম্য ইচ্ছাশক্তি। আর সেই সূত্রেই তিনি নিশ্চিত, তাঁর ছোট্ট নাতনি একদিন দাদু-মা-বাবা সবাইকে ছাপিয়ে নতুন এক ইতিহাস লিখবে।

‘সত্যমেব জয়তে’! দিল্লি হাই কোর্ট আবেদন খারিজ, সমীরের মন্তব্যে নতুন ইঙ্গিত?

Read more

Local News