Tuesday, February 11, 2025

আরজি কর দুর্নীতি মামলা: সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ, প্রশাসনে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা হাই কোর্টের

Share

আরজি কর দুর্নীতি মামলা!

কলকাতা হাই কোর্টের মতে, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও অন্যান্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর এবং এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব প্রশাসনের উপর পড়তে পারে। মঙ্গলবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে যে, এই দুর্নীতি স্বাস্থ্য ও প্রশাসন উভয় ক্ষেত্রেই বড়সড় প্রভাব ফেলতে পারে, তাই দ্রুত বিচার প্রয়োজন।


⚖️ আদালতের পর্যবেক্ষণ

🛑 দ্রুত বিচার হলে সাধারণ মানুষের বিচারব্যবস্থার প্রতি আস্থা বাড়বে।
🛑 এই মামলায় সরকারি আধিকারিকেরা জড়িত, তাই নিষ্পত্তি তাড়াতাড়ি হওয়া উচিত।
🛑 সিবিআই-এর তদন্তে দেরি হওয়ায় আদালত অসন্তুষ্ট।

এই মামলায় দুর্নীতি প্রমাণিত হলে প্রশাসনের শুদ্ধি প্রক্রিয়ায় এটি গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে বলে আদালত মনে করছে।


📜 কেন আদালতে সন্দীপ ঘোষ?

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের টেন্ডার দুর্নীতি ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে মূল অভিযুক্ত সন্দীপ ঘোষ।

🔹 অভিযোগ, চিকিৎসার সরঞ্জাম কেনার নামে টেন্ডার জালিয়াতি হয়েছিল এবং নিয়মবহির্ভূতভাবে ‘ঘনিষ্ঠ’ ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল।
🔹 প্রথম এই দুর্নীতির অভিযোগ আনেন হাসপাতালের প্রাক্তন অতিরিক্ত সুপার আখতার আলি।
🔹 তিনি সিবিআই এবং ইডির তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন।

এই মামলার তদন্তে সন্দীপ ঘোষ প্রথম গ্রেফতার হন। এরপর বিপ্লব সিংহ, আফসার আলি, সুমন হাজরা এবং আশিস পাণ্ডে-সহ আরও কয়েকজনকে গ্রেফতার করে সিবিআই।


📂 সিবিআই-এর নথি নিয়ে আইনি লড়াই

এই মামলার শুনানি চলাকালীন সন্দীপ ঘোষের আইনজীবীরা দাবি করেন যে, তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই প্রয়োজনীয় নথি হস্তান্তর করেনি।

📌 ৪৬২টি প্রয়োজনীয় নথির মধ্যে ২১৬টি ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে।
📌 বাকি নথি বুধবারের মধ্যে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
📌 ১৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি নির্ধারিত হয়েছে।

হাই কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ— সকল নথি দ্রুত দেওয়া হোক, যাতে বিচারপ্রক্রিয়া বিলম্বিত না হয়।


🚨 কেন এই মামলা গুরুত্বপূর্ণ?

প্রশাসনের দুর্নীতি প্রতিরোধের জন্য এই মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি জরুরি।
সরকারি অর্থের অপব্যবহার ও স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রয়োজন।
যদি আদালতের রায়ে অভিযুক্তদের দোষ প্রমাণিত হয়, তবে এটি ভবিষ্যতের জন্য বড় বার্তা হবে।

হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, এই মামলার রায় কেবল সন্দীপ ঘোষদের ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে না, বরং গোটা প্রশাসনিক ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে পারে।


🗣️ হাই কোর্টের রায় কি প্রশাসনের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা?

বিরোধীদের মতে, এই দুর্নীতির ঘটনায় শাসকদলের মদত ছিল, তাই তদন্তে দেরি হচ্ছে।

অন্যদিকে, সরকারপক্ষের দাবি—
✅ তদন্ত সঠিক গতিতেই এগোচ্ছে।
✅ আদালতের নির্দেশ মেনে সব নথি দ্রুত দেওয়া হবে।
✅ প্রকৃত দোষীরা যাতে সাজা পায়, তার জন্য সরকারও তৎপর।

তবে আদালত যে সন্দীপ ঘোষদের বিরুদ্ধে অভিযোগকে অত্যন্ত গুরুতর বলে মনে করছে, তা স্পষ্ট। এখন দেখার, আদালতের কড়া অবস্থানের পর তদন্ত কত দ্রুত শেষ হয় এবং অভিযুক্তদের ভবিষ্যৎ কী হয়।

৩০০ কিলোমিটার যানজটে অচল কুম্ভযাত্রা! ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে পুণ্যার্থীরা, বন্ধ রেলস্টেশনও

Read more

Local News