আরজি কর কাণ্ড!
আরজি কর কাণ্ডের তদন্তে নতুন মোড় এসেছে, যখন নির্যাতিতার বাবা-মা সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন যাতে মামলাটি কলকাতা হাই কোর্টে ফেরানো হয়। গত সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, তারা চান এই তদন্ত-মামলা কলকাতা হাই কোর্টেই চলুক। নির্যাতিতার বাবা জানান, এই আবেদনটি তাঁদের পক্ষ থেকে জমা দেওয়া হয়েছে এবং আগামী মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হবে।
প্রথম থেকেই কলকাতা হাই কোর্টে তদন্ত নিয়ে আবেদন করেছিলেন নির্যাতিতার পরিবার, কিন্তু কেন আবার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হল? গত শুনানিতে এই প্রশ্নটি তোলেন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না। তিনি জানান, একই মামলার শুনানি দুটি আদালতে চলতে পারে না। আদালতকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, মামলা সুপ্রিম কোর্টে চলবে, না হাই কোর্টে। বিচারপতি খন্না নির্যাতিতার পরিবারের কাছে জানতে চান, তারা কী চায়— মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে চলুক, না হাই কোর্টে? সেই সিদ্ধান্তের পরেই সুপ্রিম কোর্টে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
নির্যাতিতার বাবা-মায়ের বক্তব্যের পর, তাঁরা আরও জানান, তারা চান মামলাটি কলকাতা হাই কোর্টে ফিরে যাক। তাদের আবেদন মতে, হাই কোর্টে মামলার শুনানি আরও কার্যকর হবে এবং নির্যাতিতার প্রতি সুবিচার পাওয়া যাবে।
এদিকে, শিয়ালদহ আদালতেও এই মামলার রায় দেওয়ার আগে নির্যাতিতার মা-বাবা একটি আবেদন করেছিলেন, যেখানে সিবিআই তদন্তের কিছু অস্পষ্টতা তুলে ধরেছিলেন। সেই আবেদনটি শীর্ষ আদালতে চলমান মামলা থাকায় হাই কোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ শুনতে চাননি। তবে, পরে তারা সুপ্রিম কোর্টে সেই একই আবেদন করেন। তখন প্রধান বিচারপতি তাঁদের স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, যে আদালতে মামলা চালানোর সিদ্ধান্ত তাদেরই নিতে হবে। এই নির্দেশের পরেই ৩ ফেব্রুয়ারি নির্যাতিতার পরিবার সুপ্রিম কোর্টে নিজেদের অবস্থান জানান।
এখন, পরবর্তী শুনানি কলকাতা হাই কোর্টে ৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে নির্যাতিতার পরিবারের আবেদন নিয়ে শুনানি হবে। কিন্তু এর আগেই সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার বিষয়টি নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে তারা।
এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করে যে, বিচারপ্রক্রিয়ায় বাধা-বিপত্তি থাকলেও, নির্যাতিতার পরিবার তাদের অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করতে একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছে। তাঁদের আশা, যে বিচার তারা দীর্ঘদিন ধরে খুঁজছে, তা এবার হাই কোর্ট থেকেই মিলবে।
শাড়ি-পাঞ্জাবিতে অঞ্জলি, দুরুদুরু বুকে প্রেমপ্রস্তাব, বসন্ত-বিলাস, আফসোস আর সরস্বতী বন্দনা