আরজি কর-কাণ্ড!
কলকাতা হাই কোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এক তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়ের ফাঁসির সাজা চেয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। তবে সেই আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
ফাঁসির দাবিতে আদালতে রাজ্য সরকার
শিয়ালদহ আদালত ইতিমধ্যেই এই মামলায় সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করে আমৃত্যু কারাবাসের সাজা শুনিয়েছে। তবে এই শাস্তি যথেষ্ট নয় বলে দাবি করে রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই। তারা চেয়েছিল সঞ্জয়ের সর্বোচ্চ শাস্তি—মৃত্যুদণ্ড।
রাজ্যের দাবি ছিল, এটি ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ (Rarest of the Rare) অপরাধ এবং দোষীর ফাঁসি হওয়া উচিত। কিন্তু সিবিআই এই আবেদনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। শেষ পর্যন্ত বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দেয়।
কী বলেছিল নিম্ন আদালত?
২০২৪ সালের রায়ে শিয়ালদহ আদালত জানিয়েছিল, এই ঘটনা নৃশংস হলেও ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ অপরাধের সংজ্ঞায় পড়ে না। ফলে সঞ্জয় রায়কে মৃত্যুদণ্ডের বদলে আমৃত্যু কারাবাসের সাজা দেওয়া হয়।
রাজ্য সরকার ও সিবিআই এই রায়ের বিরোধিতা করে উচ্চ আদালতে যায়। তারা যুক্তি দেয়, যেভাবে ওই তরুণী চিকিৎসককে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, তা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে।
পরিবার কী বলছে?
এই মামলায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হল নির্যাতিতার পরিবারের বক্তব্য। আদালতে তাঁরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, তাঁরা সঞ্জয়ের ফাঁসি চান না। তাঁদের মতে, আমৃত্যু কারাবাসই যথেষ্ট শাস্তি হবে দোষীর জন্য।
এরপর কী হবে?
হাই কোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হবে কি না, তা নিয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি। তবে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপের কথা ভাবা হচ্ছে।
শিবলিঙ্গে দুগ্ধস্নান, মহাকুম্ভে কি এবার পুণ্যের পথে ভিকি কৌশল?

