Monday, December 1, 2025

আরজি কর-কাণ্ড: তদন্তের দাবিতে আরও জোরালো কণ্ঠ

Share

আরজি কর-কাণ্ড!

আরজি কর মেডিকেল কলেজের মর্মান্তিক ঘটনায় আরও তদন্তের দাবি উঠেছে। নির্যাতিতার পরিবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে, সঠিক বিচার ও ন্যায়বিচারের আশায়। সোমবার কলকাতা হাই কোর্টে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়।

তদন্তে নতুন মোড়

হাইকোর্টের শুনানিতে বিচারপতি ঘোষ প্রশ্ন তোলেন— ঘটনার পেছনে কি শুধুমাত্র একজনই দোষী, নাকি আরও কেউ জড়িত? এই সন্দেহ দূর করতে সিবিআইকে কেস ডায়েরি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালত চায়, স্পষ্টভাবে জানা যাক, এটি গণধর্ষণ ছিল কিনা।

পরিবারের অভিযোগ

নির্যাতিতার পরিবার সিবিআইয়ের তদন্তে অসন্তুষ্ট। তাদের দাবি, অনেক রহস্যের এখনও উদ্ঘাটন হয়নি। মামলায় সত্যিকারের বিচার নিশ্চিত করতে আরও গভীর তদন্তের প্রয়োজন। এই অবস্থায় তারা আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন।

সিবিআইয়ের বক্তব্য

সিবিআই এই মামলায় ইতিমধ্যে একটি চার্জশিট পেশ করেছে। তবে নতুন প্রশ্ন ওঠায় আদালত চায়, তদন্তের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ব্যাখ্যা। অন্যদিকে, রাজ্যের পক্ষে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতে জানান, মামলার বিচার শেষ হওয়ার পরেও যদি প্রয়োজন হয়, তবে তদন্ত চালানো যেতে পারে।

আদালতের পর্যবেক্ষণ

বিচারপতি ঘোষের মন্তব্য ছিল স্পষ্ট— নির্যাতিতার পরিবার ন্যায়বিচার চায়, এবং আদালত নিশ্চিত করতে চায় যে তদন্ত যথাযথভাবে হয়েছে। এই ঘটনায় গণধর্ষণ হয়েছে কিনা, তা সিবিআইয়ের মাধ্যমে স্পষ্ট করতে হবে।

রাজ্যের ভূমিকা

নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী শামিম আহমেদ অভিযোগ করেছেন, রাজ্য সরকার এই তদন্তে গাফিলতি করছে। আদালতে তিনি বলেন, “সরকার চাইছে না তদন্ত এগিয়ে যাক। তারা বিচার নয়, ইতি টানতে চাইছে।” পরিবার আশাবাদী, আদালতের নির্দেশে প্রকৃত সত্য প্রকাশ পাবে।

ন্যায়বিচারের অপেক্ষায়

আরজি কর মেডিকেল কলেজের এই ঘটনা গোটা সমাজকে নাড়িয়ে দিয়েছে। আন্দোলনরত চিকিৎসক, সহপাঠী ও সাধারণ মানুষ চাইছেন, প্রকৃত দোষীরা শাস্তি পাক এবং এই ধরণের ঘটনা যেন আর না ঘটে। হাই কোর্টের এই রায় তাঁদের আশার আলো দেখিয়েছে।

সামনের পদক্ষেপ

সিবিআইকে শুক্রবারের মধ্যে মামলার কেস ডায়েরি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপর আদালত পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করবে। পরিবারের প্রত্যাশা, সুবিচার পেতে আর বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না।

মানবিকতার স্বার্থে, এই মামলার সঠিক বিচার যেন সমাজের প্রতি আস্থাকে পুনরুদ্ধার করে। ন্যায়বিচার পেলে, এই ঘটনা কেবল দুঃখের কাহিনি হয়েই থাকবে না, বরং হবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে এক জাগ্রত চেতনাও।

কনকনে ঠান্ডায় লন্ডনে মমতা: বিলেতে শুরু ছয় দিনের কর্মসূচি!

Read more

Local News