আরজি কর-কাণ্ডে প্রাক্তন পুলিশ!
কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলার শুনানি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। বৃহস্পতিবার তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, ব্যক্তিগত কারণে তিনি এই মামলা শুনতে চান না। ফলে মামলাটি অন্য বেঞ্চে স্থানান্তরিত করা হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
প্রাক্তন কমিশনারের বিরুদ্ধে অভিযোগ কী?
গত মাসে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ঘটে যাওয়া নারকীয় ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। অভিযোগ, কলকাতার তৎকালীন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল ওই ঘটনার নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ করে ফেলেছিলেন। এর জেরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয় এবং তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের আবেদন জানিয়ে আদালতে জনস্বার্থ মামলা করেন সমাজকর্মী অনামিকা পাণ্ডে।
প্রসঙ্গত, এই মামলার আগের শুনানিগুলিও প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চেই হয়েছিল। বৃহস্পতিবারও প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি চৈতালি চট্টোপাধ্যায়ের বেঞ্চে মামলাটি ওঠে। কিন্তু সেই মুহূর্তেই প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দেন যে, তিনি এই মামলা আর শুনবেন না এবং এটি অন্য বেঞ্চে পাঠানো হবে।
আন্দোলনের জেরে বদলি হন বিনীত
আরজি কর-কাণ্ডে পুলিশের গাফিলতির অভিযোগ তুলে কলকাতার তৎকালীন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবি তোলেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা। সেই সময় লালবাজার অভিযানের ডাকও দেওয়া হয়েছিল। পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাসভবনে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, বিনীত গোয়েলকে সরিয়ে দেওয়া হবে।
📌 এই সিদ্ধান্তের ফলে বিনীতকে কলকাতা পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে সরিয়ে এসটিএফ-এ পাঠানো হয়। তাঁর জায়গায় নতুন পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেন মনোজ বর্মা।
প্রধান বিচারপতির এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে কী?
প্রধান বিচারপতির আচমকা এই মামলার শুনানি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়া নিয়ে এখন আইন মহলে জল্পনা তুঙ্গে। অনেকেই মনে করছেন,
📌 এই মামলা সংবেদনশীল হওয়ার কারণে হয়তো তিনি নিজেকে এর বিচারপ্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখতে চেয়েছেন।
📌 কোনো বিশেষ কারণ রয়েছে কি না, তা নিয়েও আলোচনা চলছে।
তবে এই মামলার ভবিষ্যৎ এখন কী হতে চলেছে, তা নির্ভর করছে নতুন যে বেঞ্চে মামলাটি পাঠানো হবে, তার উপর। আদালত কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
আরজি কর-কাণ্ডের প্রভাব এখনও তীব্র
আরজি কর-কাণ্ড শুধু পুলিশ প্রশাসনই নয়, পুরো স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকেও প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে। এই ঘটনার পর চিকিৎসকদের নিরাপত্তা ও হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা নিয়েও আলোচনার ঝড় ওঠে।
📌 পুলিশের দায়িত্বে অবহেলা, তথ্য ফাঁস এবং গাফিলতির মতো গুরুতর অভিযোগের জেরে এই মামলা আরও জটিল হয়ে উঠছে।
📌 এই ঘটনার জেরে রাজ্য প্রশাসনের উপরও চাপ তৈরি হয়েছে, কারণ বিনীত গোয়েলকে সরিয়ে দেওয়ার পরেও ক্ষোভ পুরোপুরি প্রশমিত হয়নি।
এখন কী হতে পারে?
মামলাটি নতুন বেঞ্চে স্থানান্তরিত হওয়ার পরই বোঝা যাবে, বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ কতটা আইনি ভিত্তি পায়। তবে এই সিদ্ধান্ত যে পুরো ঘটনা নতুন মোড় নিতে পারে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
📌 এখন নজর থাকবে আদালতের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে এবং দেখা যাবে, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে কী সিদ্ধান্ত আসে।
মাটির নীচ থেকে গর্জনের শব্দ! ভূমিকম্পের নতুন অভিজ্ঞতায় আতঙ্কিত দিল্লিবাসী— কেন হল এমন?