অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের কড়া হুঁশিয়ারি!
অবৈধভাবে আমেরিকায় বসবাস করছেন? সাবধান! নতুন করে শুরু হয়েছে ধরপাকড়ের প্রস্তুতি। দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় ফিরে ডোনাল্ড ট্রাম্প একেবারে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন—”আমেরিকায় অবৈধদের কোনও ঠাঁই নেই।” এবার সেই নীতিকে আরও শক্তপোক্ত করতে পাশে পেলেন সুপ্রিম কোর্টকেও।
সোমবার মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট এক ঐতিহাসিক রায়ে ট্রাম্প প্রশাসনকে ১৭৯৮ সালের ‘Alien Enemies Act’ প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে। এই আইন অনুযায়ী, দেশের জন্য ক্ষতিকর বা নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত বিদেশিদের দেশে ফেরত পাঠানোর অধিকার রয়েছে প্রশাসনের। যদিও এই আইনটা ২২৭ বছর পুরনো, তবু আজকের প্রেক্ষাপটে একে নতুন অস্ত্র করে তুলেছে ট্রাম্প সরকার।
🔊 হোয়াইট হাউসের কড়া বার্তা
এই রায়ের পরেই হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট সংবাদমাধ্যমে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন,
“নিজে থেকে আমেরিকা ছাড়ুন, নয়তো জোর করে আটক করে ফেরত পাঠানো হবে।”
এ কথা বলার সঙ্গেই তিনি জানিয়ে দেন, আইন মানতে প্রশাসন আর কোনও গাফিলতি বরদাস্ত করবে না।
🔁 সুপ্রিম কোর্টের শর্ত
যদিও এই আইনের প্রয়োগে কিছু শর্তও জুড়ে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। কাউকে দেশছাড়া করার আগে তাকে লিখিত নোটিস দিতে হবে এবং সেই ব্যক্তি চাইলে আইনি পথে প্রতিকার চাইতে পারবেন। অর্থাৎ, হঠাৎ করে কাউকে তুলে নিয়ে পাঠিয়ে দেওয়ার সুযোগ থাকছে না, তবে প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে।
🌍 কারা পড়ছেন ঝুঁকিতে?
বিশেষ করে ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলি থেকে আসা অবৈধ অভিবাসীদের লক্ষ্য করেই কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে প্রশাসন। এর আগে ভেনেজুয়েলার কিছু অপরাধপ্রবণ ব্যক্তিকে এল সালভাদরে পাঠাতে চেয়েছিল ট্রাম্প সরকার, কিন্তু তা আটকে দিয়েছিল নিম্ন আদালত। সেই মামলাই গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে, যেখানে এবার ট্রাম্প পেয়েছেন নিজের পছন্দের রায়।
🧭 ‘আমেরিকা ফার্স্ট’-এ আরও এক ধাপ
ট্রাম্পের ‘America First’ নীতির মূল উদ্দেশ্য—দেশের সুরক্ষা এবং চাকরির সুযোগ দেশের নাগরিকদের জন্য সংরক্ষণ। অবৈধ অভিবাসীদের কারণে বেআইনি কাজ, অপরাধ এবং নাগরিক সুবিধার ওপর চাপ বাড়ছে বলে মনে করছেন তিনি। তাই দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসেই শুরু করেছেন তৎপরতা।
📌 শেষ কথা
এই রায়ের পর আমেরিকায় বসবাসরত অবৈধ অভিবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। কেউ কেউ স্বেচ্ছায় দেশ ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, কেউ আবার আইনি লড়াইয়ের রাস্তায় হাঁটছেন। তবে একথা স্পষ্ট—ট্রাম্প প্রশাসন এবার আগের চেয়েও কঠোর।
তাই আমেরিকায় যদি অবৈধভাবে বসবাস করেন, এখনই সময় সিদ্ধান্ত নেওয়ার—আপনি থাকবেন, না ফিরে যাবেন নিজের দেশে। কারণ, এবার হয়তো সময় খুব বেশি নেই! 🇺🇸⏳
পুরুষের ত্বকে ক্যানসারের ঝুঁকি ৫০% বেশি! সানস্ক্রিন মাখছেন ঠিকঠাক?