হাওয়াই থেকে ক্যালিফোর্নিয়া, আতঙ্কে উপকূলবাসী!
জাপান ও রাশিয়ার পর এবার সুনামির ছায়া পড়ল আমেরিকার পশ্চিম উপকূলেও। হাওয়াই, ওয়াশিংটন, ওরেগন ও ক্যালিফোর্নিয়ার উপকূলে বড় ঢেউয়ের আঘাতে শঙ্কিত প্রশাসন ও সাধারণ মানুষ। হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে সাইরেন বেজে উঠেছে, জরুরি সতর্কবার্তা ছড়িয়ে পড়েছে পুরো অঞ্চলে।
সোমবার রাতে রাশিয়ার পূর্ব কামচাটকা উপদ্বীপে রিখটার স্কেলে ৮.৮ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়। তার পরই জলোচ্ছ্বাস শুরু হয় রাশিয়া ও জাপানের উপকূলে। সেই ভূকম্পনের প্রভাবে প্যাসিফিক মহাসাগরজুড়ে সৃষ্টি হয় সুনামির ঢেউ, যা ধীরে ধীরে পৌঁছয় আমেরিকার দিকে।
ক্যালিফোর্নিয়ার উত্তর উপকূলে ঢেউয়ের উচ্চতা সবচেয়ে বেশি ছিল। অ্যারিনা কোভে ১.৬ ফুট, ক্রেসেন্ট সিটিতে ১.৫ ফুট এবং মন্টেরেতে ১.৪ ফুট উচ্চতার ঢেউ আছড়ে পড়ে। সান ফ্রানসিস্কো বে এলাকা, ওরেগন উপকূল ও ওয়াশিংটনেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
হাওয়াইয়ের ওয়াহু দ্বীপে হালেইওয়া বোট হারবারের একটি পার্কিং এলাকায় ঢুকে পড়ে সুনামির জল। সেই ঢেউয়ের উচ্চতা ছিল প্রায় ৪ ফুট। যদিও সেখানে কোনও মানুষ উপস্থিত ছিলেন না, কয়েকটি গাড়ি ও নৌকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হনলুলুতে সতর্কতামূলকভাবে সাইরেন বাজানো হয়েছে এবং উপকূলবর্তী এলাকা থেকে বহু মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পরিস্থিতি কতটা বিপজ্জনক?
আমেরিকার ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস এবং কোস্ট গার্ড সাধারণ মানুষকে উপকূল থেকে দূরে থাকতে বলেছে। পরিবেশবিদদের মতে, প্রাথমিক ঢেউয়ের পর আরও কয়েক ঘণ্টা ধরে জলোচ্ছ্বাস অব্যাহত থাকতে পারে। জলের প্রবাহ স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি থাকবে এবং কিছু এলাকায় সেটা বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছতে পারে।
ন্যাশনাল ওশানিক অ্যান্ড অ্যাটমোসফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (NOAA) জানিয়েছে, হাওয়াই সহ মার্কিন উপকূলের বেশ কিছু এলাকায় সম্ভাব্য সুনামি নিয়ে সাবধানতা অবলম্বন করা হয়েছে। পাপুয়া নিউ গিনি, সলোমন দ্বীপ ও ভানুয়াটুতেও একই সতর্কতা জারি হয়েছে।
তবে স্বস্তির খবর, মার্কিন জরুরি বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সুনামির সবচেয়ে বিপজ্জনক সময়সীমা পার হয়ে গেছে। যদিও পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে, তবুও সতর্কতা অব্যাহত থাকবে। যাঁরা সমুদ্রতীর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে গিয়েছিলেন, তাঁরা ধীরে ধীরে ফিরতে পারেন, তবে ঝুঁকি না নেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনাটি আবারও মনে করিয়ে দিল, প্রাকৃতিক দুর্যোগ কত দ্রুত এবং হঠাৎ আঘাত হানতে পারে। ভূমিকম্পের পর সুনামির আশঙ্কা থাকলে ঠিক কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে, তা নিয়ে আরও সচেতন হওয়া জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
অলিম্পিক্স ক্রিকেটে বাদ পড়ার শঙ্কায় পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড, আইসিসি নিয়ম নিয়ে দুই দেশের ক্ষোভ

