আবার নবান্ন অভিযানে শিক্ষক সমাজ!!
স্কুল সার্ভিস কমিশনের ২০১৬ সালের প্যানেল থেকে ‘যোগ্য’ চাকরিপ্রার্থীদের পুনর্বহাল, সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ-সহ পাঁচ দফা দাবিতে আবারও রাস্তায় নামছে শিক্ষক সমাজ। আগামী ২৮ জুলাই নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী, চাকরিজীবী ও চাকরিহারা ঐক্য মঞ্চ এবং সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। এ বছরের এপ্রিলে পুলিশের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত থাকলেও, দীর্ঘ তিন মাসেও কোনও লিখিত সিদ্ধান্ত না আসায় ফের আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষক সমাজের সংগঠনগুলো।
শনিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে আন্দোলনকারীরা স্পষ্ট জানিয়েছেন—শুধুমাত্র মৌখিক প্রতিশ্রুতিতে এবার আর পিছু হটবে না শিক্ষক সমাজ। তাঁদের বক্তব্য, “আলোচনায় বসতে হলে এবার চাই লিখিত নির্দেশ। শুধু আশ্বাস নয়, চাই সুস্পষ্ট সমাধান।”
গত ২১ এপ্রিলও নবান্ন অভিযানের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল ঐক্য মঞ্চ। তখন কলকাতা পুলিশের একাধিক শীর্ষকর্তার সঙ্গে বৈঠকে আশ্বাস মেলায় আন্দোলন স্থগিত রাখা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন কেটে গেলেও বাস্তবিক কোনও অগ্রগতি হয়নি বলে অভিযোগ। তাই এবার আর সময় নষ্ট নয়—প্রতিবাদেই সুরাহা খুঁজতে বদ্ধপরিকর আন্দোলনকারীরা।
পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—
- এসএসসি ২০১৬ প্যানেলের যোগ্যদের চাকরিতে ফেরানো
- বকেয়া ডিএ-র অন্তত ২৫% অবিলম্বে মেটানো
- অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ীকরণ
- চাকরির ক্ষেত্রে দুর্নীতিগ্রস্ত নিয়োগ বাতিল করে স্বচ্ছ পদ্ধতিতে নবনিযুক্তি
- নারী নির্যাতন ও আইন কলেজ ধর্ষণকাণ্ডে দ্রুত বিচার এবং প্রশাসনিক দায় নিরূপণ
পশ্চিমবঙ্গ বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী, চাকরিজীবী ও চাকরিহারা ঐক্য মঞ্চের আহ্বায়ক আশিস খামরই জানিয়েছেন, “মুখ্যমন্ত্রী যত দিন পর্যন্ত আলোচনা করে স্থায়ী সমাধান না করছেন, তত দিন পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।” দেবাশীষ বিশ্বাসের দাবি আরও কড়া—“মেধাবীদের চাকরি দুর্নীতিতে বিক্রি হয়েছে। সেই অন্যায়ের প্রতিবাদে যত দূর যাওয়ার দরকার, আমরা যাব।”
শুধু চাকরি নয়, আন্দোলনকারীদের দাবি—আইন এখন ধনীদের রক্ষাকবচ, অথচ গরিব চাকরিপ্রার্থীদের কাছে তা এক যন্ত্রণার ফাঁদ। বারবার প্রশাসনিক স্তরে প্রতিশ্রুতি দিয়ে সমস্যা ঝুলিয়ে রাখা হচ্ছে। এই অবিচার আর মানা যাবে না।
এই অবস্থায় ২৮ জুলাইয়ের নবান্ন অভিযান এক নতুন মোড় নিতে চলেছে। রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে সাধারণ মানুষ—সকলেই নজর রাখছেন এই আন্দোলনের দিকে। শিক্ষক সমাজ এবার ঘোষণা করেই দিয়েছে—মৌখিক নয়, চাই লিখিত সমাধান, নয়তো রাস্তাই হবে তাদের শেষ আশ্রয়।
উইম্বলডনে হ্যাটট্রিকের লক্ষ্যে আলকারাজ়, জোকোভিচের প্রতিপক্ষ মুলার, তাপপ্রবাহে চিন্তায় আয়োজকরা

