২০২৮ থেকে ৯৪টি ম্যাচ, হোম-অ্যাওয়ে ফরম্যাটে ফিরছে নতুন চমক
২০২৮ সাল থেকে বদলে যেতে চলেছে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় টি-টোয়েন্টি লিগ—ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। প্রতিযোগিতার গঠনে আসছে বড় রদবদল। এবার আর গ্রুপ ভাগ নয়, বরং সম্পূর্ণ হোম-অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে হবে সব ম্যাচ। ফলে মোট ম্যাচের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৯৪টিতে, যা চলবে প্রায় ৬০ থেকে ৬৫ দিন। বোর্ডের এই পরিকল্পনার কথা নিজেই জানিয়ে দিয়েছেন আইপিএল চেয়ারম্যান অরুণ ধুমল।
কীভাবে বদলাচ্ছে ফরম্যাট?
এখন পর্যন্ত আইপিএলে দলগুলোকে দুইটি গ্রুপে ভাগ করে খেলা হয়। একে অপরের সঙ্গে খেলে নির্দিষ্ট নিয়মে। তবে ২০২৮ থেকে এই পদ্ধতি পুরোপুরি বদলে যাবে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিটি দল অপর প্রতিটি দলের সঙ্গে দু’বার করে খেলবে—একবার হোম এবং একবার অ্যাওয়ে। এতে করে বাড়বে ম্যাচের সংখ্যা এবং সেই সঙ্গে উত্তেজনাও।
ম্যাচ সংখ্যা বাড়লেও সময় বাড়বে না অনেক
অরুণ ধুমলের কথায়,
“৭৪টি ম্যাচের জায়গায় ৯৪টি ম্যাচ হলে খুব বেশি সময় লাগবে না। তবুও আইসিসির প্রতিযোগিতা ও দ্বিপাক্ষিক সিরিজগুলোর জন্য পর্যাপ্ত সময় রাখতেই হবে।”
সম্প্রচার স্বত্বে বাড়ছে মূল্য
২০২৮ সালে এই নতুন ফরম্যাট চালু হওয়ার সময়েই আইপিএলের সম্প্রচার স্বত্ব ফের বিক্রি করা হবে, যা বোর্ডের রাজস্বে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রামে (FTP) আইপিএলের জন্য সময় বরাদ্দের আশ্বাসও পাওয়া গেছে, বলছে বিসিসিআই।
ক্রিকেটারদের ওপর চাপ বাড়ার সম্ভাবনা
যদিও ম্যাচের সংখ্যা বাড়ানো নিয়ে রয়েছে কিছু চ্যালেঞ্জও। অতিরিক্ত ম্যাচ মানেই বেশি চাপ। এতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের আগ্রহ কমে যেতে পারে, বিশেষ করে যারা নিজেদের দেশের হয়ে খেলা বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন।
ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে আইপিএল
২০২৫ সালেই ৬৪ দিনের সূচিতে চলছে আইপিএল। তবে ধুমল জানাচ্ছেন,
“এই বছর প্রচুর ক্রিকেট ছিল—অস্ট্রেলিয়া সফর, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, তারপর আইপিএল। তাই এ বছর ম্যাচ বাড়ানোর কথা ভাবা হয়নি। তবে ভবিষ্যতে সময় এলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
ফরম্যাট বদল মানে নতুন চেহারার আইপিএল
আইপিএলের এই বদল শুধু ফরম্যাটেই নয়, দর্শকদের অভিজ্ঞতাতেও পরিবর্তন আনবে। হোম-অ্যাওয়ে ম্যাচ মানেই ঘরের মাঠে আরও বেশি খেলা, ভক্তদের জন্য বাড়তি উত্তেজনা। দেশের প্রতিটি শহরেই ফের জমজমাট ক্রিকেট উৎসব হবে। নতুন এই পথচলায় আইপিএল হতে চলেছে আরও বড়, আরও আন্তর্জাতিক, আরও বাণিজ্যিকভাবে সফল।
শেষ কথা,
২০২৮ সালের অপেক্ষা শুরু হয়ে গেছে এখনই। আইপিএলের এই রূপান্তর হয়তো ক্রিকেটের ভবিষ্যৎকেই বদলে দেবে। একদিকে বাড়তি ম্যাচের আনন্দ, অন্যদিকে ক্রিকেটারদের ওপর চাপ—এই দোটানায়ই গড়ে উঠবে নতুন আইপিএলের গল্প।
বিএসএফ কর্তাদের আশ্বাসেও থেমে নেই উৎকণ্ঠা, সোমবার পঞ্জাব যাচ্ছেন পূর্ণমের স্ত্রী