Monday, March 3, 2025

“আইএএস হওয়া সহজ, সিনেমা বানানো কঠিন!”— ফের বিতর্কে ‘অ্যানিম্যাল’ পরিচালক সন্দীপ বঙ্গা

Share

বিতর্কে ‘অ্যানিম্যাল’ পরিচালক সন্দীপ বঙ্গা!

রণবীর কাপুর অভিনীত ‘অ্যানিম্যাল’ মুক্তির পর থেকেই বিতর্কে জড়িয়েছেন পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি বঙ্গা। এবার তাঁর সাম্প্রতিক মন্তব্য ঘিরে নতুন করে শুরু হয়েছে সমালোচনা। তিনি দাবি করেছেন, আইএএস হওয়া নাকি অনেক সহজ! কারণ, কয়েকটি নির্দিষ্ট বই পড়ে আর কিছু বছর সময় দিলেই একজন ব্যক্তি সরকারি প্রশাসনের শীর্ষ পদে পৌঁছতে পারেন। কিন্তু সিনেমা বানানো এতটা সহজ নয়।

এই মন্তব্যের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে ব্যাপক বিতর্ক। সন্দীপের বক্তব্যকে একাংশ সমর্থন করলেও, অনেকে কটাক্ষ করেছেন।


🎬 ‘অ্যানিম্যাল’-এর পর ফের বিতর্কে পরিচালক

২০২৩ সালের ডিসেম্বরে মুক্তি পেয়েছিল ‘অ্যানিম্যাল’, যা বক্স অফিসে দারুণ সাফল্য পেলেও সমালোচনার মুখেও পড়ে।

🔹 নারীবিদ্বেষ, উগ্র পৌরুষত্বের প্রচার, সমাজবিরোধী বার্তা— এই অভিযোগ উঠেছিল সিনেমার বিরুদ্ধে।
🔹 পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি বঙ্গার পাশাপাশি নায়ক রণবীর কাপুরকেও সমালোচিত হতে হয়েছিল।
🔹 এবার আবারও তাঁর এক মন্তব্য তাঁকে বিতর্কের কেন্দ্রে এনে ফেলল।

এক সাক্ষাৎকারে সন্দীপ বলেন—

“কিছু নির্দিষ্ট বই পড়ে, দু’-তিন বছর সময় দিলেই একজন আইএএস অফিসার হওয়া যায়। কিন্তু সিনেমা বানানোর জন্য কেউ হাতে ধরে শেখায় না। এখানে নির্দিষ্ট পাঠ্যক্রমও নেই।”

এমন মন্তব্যের পর সামাজিক মাধ্যমে প্রশ্ন উঠছে— তিনি কি প্রশাসনিক চাকরির গুরুত্বকেই খাটো করে দেখাচ্ছেন?


📖 আইএএস-দের নিশানা করলেন সন্দীপ?

সন্দীপের এই মন্তব্যের আসল উদ্দেশ্য ছিল জনপ্রিয় আইএএস কোচিং প্রশিক্ষক বিকাশ দিব্যকীর্তিকে আক্রমণ করা।

🔹 বিকাশ, যিনি একসময় সরকারি প্রশাসনে কাজ করতেন, এখন নতুন প্রজন্মকে UPSC পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করেন
🔹 ২০২৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘টুয়েলফ্‌থ ফেল’ সিনেমায় এক শিক্ষকের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল তাঁকে।
🔹 এই সিনেমায় তিনি বলেছিলেন—

“‘অ্যানিম্যাল’-এর মতো সিনেমা সমাজকে ১০ বছর পিছিয়ে দিতে পারে! শুধু টাকার জন্য সমাজবিরোধী বার্তা ছড়ানো উচিত নয়।”

এই মন্তব্যেই চটেছেন সন্দীপ।

তিনি বলেন—

“আইএএস হওয়ার জন্য দিল্লিতে একটি কোচিং সেন্টারে ভর্তি হন, কয়েকটি বই পড়ুন, কয়েক বছর সময় দিন— তাহলেই চাকরি হয়ে যাবে। কিন্তু চিত্রনির্মাতা হতে গেলে কেউ হাতে ধরে শেখায় না।”


🎥 সিনেমা তৈরি কি সত্যিই কঠিন?

সন্দীপের দাবি—

আইএএস হতে গেলে নির্দিষ্ট সিলেবাস থাকে, কিন্তু সিনেমা বানানোর নির্দিষ্ট পাঠ্যক্রম নেই।
চলচ্চিত্র পরিচালনা শেখার জন্য কোনও প্রশিক্ষক থাকে না, এটা একান্তই নিজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার বিষয়।
সিনেমা তৈরির প্রতিটি ধাপ কঠিন— চিত্রনাট্য লেখা, শুটিং, সম্পাদনা, বিপণন, সব কিছুতেই পরিশ্রম প্রয়োজন।

তবে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি আইএএস হওয়া খুব সহজ?

অনেকেই বলছেন, আইএএস-এর পথও কম কঠিন নয়।
📌 একজন IAS পরীক্ষার্থীকে ২-৩ বছর ধরে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়।
📌 প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ পরীক্ষার্থী এই পরীক্ষায় বসেন, কিন্তু মাত্র ১% সফল হন।
📌 সিভিল সার্ভিসে আসার পরও প্রশাসনিক দায়িত্ব সামলানো সহজ নয়।


🌍 সামাজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া কেমন?

সন্দীপের বক্তব্যকে ঘিরে দুই রকম প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে—

🟢 সমর্থকদের মতে:

“সন্দীপ ভুল কিছু বলেননি। সিনেমা বানানো সত্যিই কঠিন, এখানে এক্সপেরিমেন্ট ছাড়া শেখার সুযোগ নেই।”

🔴 সমালোচকদের মতে:

“আইএএস অফিসাররা দেশের প্রশাসনিক চালিকা শক্তি, সমাজের উন্নতির দায়িত্ব তাঁদের উপর। সিনেমা বানানো ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন— দুটোর তুলনা করা উচিত নয়।”

অনেকেই বলছেন, সিনেমার শিল্পগত গুরুত্ব স্বীকার করলেও প্রশাসনিক কাজের গুরুত্ব ছোট করা ঠিক নয়।


❓ তাহলে সন্দীপ কি ভুল বললেন?

সন্দীপ রেড্ডি বঙ্গা হয়তো বোঝাতে চেয়েছেন যে চলচ্চিত্র নির্মাণ সহজ কাজ নয়, এটি শেখার জন্য কোনও নির্দিষ্ট পথ নেই। কিন্তু তা বলতে গিয়ে আইএএস হওয়াকে যেন একেবারে সহজ কাজ বলে ফেলেছেন!

💡 বাস্তবে দুই ক্ষেত্রেই কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায়, এবং প্রতিভার প্রয়োজন।
💡 একটি প্রশাসনিক চাকরি যেমন সমাজ গঠনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি সিনেমাও মানুষের ভাবনাকে বদলে দিতে পারে।

তবে সন্দীপের মন্তব্য থেকে আবারও স্পষ্ট, ‘অ্যানিম্যাল’ সিনেমাকে ঘিরে বিতর্কের আগুন এত সহজে নিভবে না!

শেষ দিনের শ্যুটিং, আবেগে ভাসল ‘নিম ফুলের মধু’ পরিবার

Read more

Local News