Tuesday, December 9, 2025

অ্যাশেজের আগে ইংল্যান্ড শিবিরে আশার আলো, চোট কাটিয়ে ফিরছেন ক্রিস ওকস

Share

অ্যাশেজের আগে ইংল্যান্ড শিবিরে আশার আলো!

ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে অনবদ্য সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের অভিজ্ঞ পেসার ক্রিস ওকস। ওভালে কাঁধের হাড় সরে যাওয়ার পরও তিনি ব্যাট হাতে নেমে লড়াই চালিয়ে যান। তবে সেই গুরুতর চোটের কারণে কবে তিনি আবার মাঠে ফিরতে পারবেন, তা নিয়ে সন্দেহ ছিল। অবশেষে অ্যাশেজের আগে ইংল্যান্ড শিবিরে এল সুখবর—ওকস দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন।

ওভালের প্রথম দিন ফিল্ডিং করতে গিয়েই চোট পান ওকস। চোট এতটাই গুরুতর ছিল যে স্লিং বেঁধে চলাফেরা করতে হচ্ছিল তাঁকে। তবে সম্প্রতি ‘দ্য হান্ড্রেড’ টুর্নামেন্টে ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় দেখা যায়, স্লিং আর নেই। স্বাভাবিকভাবেই তখনই প্রশ্ন ওঠে—চোট কি অনেকটাই সেরে গেছে? জবাবে ওকস বলেন, “হ্যাঁ, এটা অবশ্যই ভাল খবর। স্লিং ছাড়া চলাফেরায় সমস্যা নেই, হাতের নড়াচড়াও অনেকটাই স্বাভাবিক হচ্ছে। আশা করছি, আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে আরও উন্নতি হবে। যদিও ম্যাচ ফিট হতে এখনও অনেকটা পথ বাকি।”

সবচেয়ে বড় স্বস্তির খবর, তাঁর অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হবে না। ওকস জানিয়েছেন, নিয়মিত রিহ্যাব চালিয়ে যাচ্ছেন এবং ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করছেন। তাঁর কথায়, “অস্ত্রোপচারের দরকার নেই, তাই সুস্থ হতে সময়ও কম লাগবে বলে আশা করছি। তবে ম্যাচে নামার মতো ফিটনেস ফিরে পেতে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে, আর সেই দিকেই মনোযোগ দিচ্ছি।”

দীর্ঘ বিরতির পরই ইংল্যান্ডের টেস্ট দলে ফিরেছিলেন ওকস এবং ভারতের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের সবক’টিতে খেলেছিলেন একমাত্র পেসার হিসেবে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, ওভালে চোট পাওয়ার পর আর বল করতে পারেননি। তবুও শেষ ইনিংসে এক হাত সোয়েটারের ভেতর ঢুকিয়েই ব্যাট হাতে নেমে পড়েন। প্রচণ্ড যন্ত্রণা নিয়েও গাস অ্যাটকিনসনের সঙ্গে জুটি গড়ে জেতানোর চেষ্টা করেছিলেন, যদিও শেষ পর্যন্ত ৬ রানে হেরে যায় ইংল্যান্ড।

অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ২১ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে পাঁচ ম্যাচের মর্যাদাপূর্ণ অ্যাশেজ সিরিজ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সে দেশে আশানুরূপ ফল করতে পারেনি ইংল্যান্ড। এবারের সিরিজ তাদের জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ২০২৭ সালের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে জায়গা পেতে হলে ভালো ফল করতেই হবে। এমন পরিস্থিতিতে ওকসের অভিজ্ঞতা হবে দলের বড় সম্পদ।

যদিও এখনও নিশ্চিত নয় তিনি প্রথম টেস্টে খেলতে পারবেন কি না, তবুও ওকস নিজের সবটুকু দিয়ে দ্রুত সুস্থ হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর এই প্রত্যাবর্তনের লড়াই কেবল ইংল্যান্ড দলের জন্যই নয়, ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছেও অনুপ্রেরণার উদাহরণ। অ্যাশেজে তাঁর উপস্থিতি হলে স্টোকসের নেতৃত্বাধীন ইংল্যান্ড নিঃসন্দেহে বাড়তি আত্মবিশ্বাস পাবে।

শুল্কযুদ্ধের মাঝেই আমেরিকা সফরে মোদী? ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে

Read more

Local News