Monday, December 1, 2025

অহমদাবাদ দুর্ঘটনার প্রভাব: ভয়ে মুখ ফিরিয়েছে যাত্রীরা, ৩০-৩৫% কমেছে এয়ার ইন্ডিয়ার টিকিট বিক্রি

Share

অহমদাবাদ দুর্ঘটনার প্রভাব!

অহমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। বিমান উড়তে না উড়তেই ভেঙে পড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার, আর তাতেই প্রাণ হারিয়েছিলেন ২৪১ জন যাত্রী। এই ভয়াবহ ঘটনার পরে যাত্রীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে গভীর আতঙ্ক। তার সরাসরি প্রভাব পড়েছে টিকিট বিক্রিতে। একাধিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ছ’দিনে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ কমেছে এয়ার ইন্ডিয়ার টিকিট বিক্রি।


যাত্রীরা আতঙ্কিত, বিক্রি কমেছে টিকিট

দুর্ঘটনার পর সমাজমাধ্যমে বহু যাত্রী জানিয়েছেন, তাঁরা এখন আর সাহস পাচ্ছেন না এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে উঠতে। কেউ কেউ ইতিমধ্যেই পূর্বনির্ধারিত টিকিট বাতিল করে দিয়েছেন। ‘ব্লু স্টার এয়ার ট্র্যাভেল সার্ভিসেস’-এর কর্ণধার মাধব ওজা এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, ‘‘নতুন বুকিংও প্রায় ৩০-৩৫ শতাংশ কমে গিয়েছে।’’ শুধু টিকিট বিক্রিতেই নয়, ২০ শতাংশেরও বেশি বাতিলের ঘটনা ঘটেছে বলে জানাচ্ছে অন্যান্য সংস্থাও।


কেন এতো আতঙ্ক?

এই প্রবণতার পেছনে রয়েছে মূলত দুটি কারণ:

১. বিমান সংস্থার নাম এয়ার ইন্ডিয়া, এবং
২. উপযোগ করা বিমান— বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার

এই মডেলের বিমান সম্পর্কে আগে থেকে ‘সুরক্ষিত’ বলেই পরিচিত থাকলেও, এই দুর্ঘটনার পরে সাধারণ মানুষের আস্থা মারাত্মক ভাবে নড়ে গিয়েছে।


শুধু এয়ার ইন্ডিয়া নয়, বোয়িং নিয়েও উদ্বেগ

বিমান দুর্ঘটনার পরে বিভিন্ন রুটে একের পর এক উড়ান বাতিল করছে এয়ার ইন্ডিয়া। জানা যাচ্ছে, গত ৪৮ ঘণ্টায় ৯টি বিমান বাতিল হয়েছে, যার মধ্যে বেশির ভাগই বোয়িং ৭৮৭ মডেল। অনেক ক্ষেত্রে বিমান মাঝপথ থেকে ফিরে আসছে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে। এই ধরনের বারবার বিভ্রাট যাত্রীদের মনোবল আরও দুর্বল করে দিয়েছে।


ডিজিসিএ-র পদক্ষেপ

ডিজিসিএ (DGCA) ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছে, এয়ার ইন্ডিয়ার সমস্ত বোয়িং ৭৮৭-৮ এবং ৭৮৭-৯ বিমান পুনরায় পরীক্ষা করে দেখতে হবে। বর্তমানে এয়ার ইন্ডিয়ার কাছে রয়েছে ২৬টি ৭৮৭-৮ ও ৭টি ৭৮৭-৯। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ২৬টি বিমানের পরীক্ষা ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে এবং বাকি ৭টির উপর কাজ চলছে।


টাটা গোষ্ঠীর বড় চ্যালেঞ্জ

টাটা গোষ্ঠীর অধীনে থাকা এয়ার ইন্ডিয়ার কাছে এই পরিস্থিতি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। এক দিকে যাত্রীদের নিরাপত্তা, অন্য দিকে সংস্থার সুনাম— দুটিই এখন সংকটে। এয়ার ইন্ডিয়া যেভাবে দ্রুত নিরাপত্তা পরীক্ষার কাজ করছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে তারা পরিস্থিতি সামাল দিতে সচেষ্ট। তবে যাত্রীদের মন থেকে ভয় দূর না হলে, বিমান পরিষেবায় ফিরতে সময় লাগবে।

আপনি চাইলে ক্লাস্টার বোমা, ফ্লাইট নিরাপত্তা বিধি, বা ডিজিসিএর ভূমিকা নিয়েও বিস্তারিত জানতে পারেন।

বিমানের প্রতি ভয় বাড়ছে? দুর্ঘটনার পরে যাত্রীদের মনে ঘনীভূত ‘ফ্লাইট অ্যাংজাইটি’

Read more

Local News