অস্ট্রেলিয়া সিরিজে শামির জায়গা হবে কি?
ভারতের ক্রিকেটপ্রেমীরা বর্তমানে একটি বড় প্রশ্নের মুখোমুখি—বাংলার তারকা পেসার মহম্মদ শামি কি আসন্ন বর্ডার-গাভাস্কার সিরিজে দলে জায়গা পাবেন? দীর্ঘ চোট থেকে ফিরে রঞ্জি ট্রফিতে দুর্দান্ত পারফর্ম করলেও শামিকে নিয়ে এখনও দ্বিধায় রয়েছে নির্বাচক কমিটি।
রঞ্জিতে শামির দাপট
গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে রয়েছেন শামি। হাঁটুর চোট এবং পরবর্তী অস্ত্রোপচারের কারণে মাঠের বাইরে ছিলেন তিনি। তবে সম্প্রতি রঞ্জি ট্রফিতে বাংলার হয়ে মাঠে নেমে সাত উইকেট শিকার করে দলের জয় নিশ্চিত করেন। মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে এই পারফরম্যান্স নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এনেছে তাঁকে।
নির্বাচকদের উদ্বেগ
বোর্ডের নির্বাচক কমিটি এবং মেডিক্যাল টিম শামিকে নিয়ে অত্যন্ত সতর্ক। পাঁচ দিনের টেস্টের ধকল সামলানোর মতো শারীরিক প্রস্তুতি রয়েছে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে নির্বাচকদের। শামির বর্তমান ফিটনেস যাচাই করতে তাঁকে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে আরও কিছু ম্যাচ খেলানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।
সম্ভাব্য পরিকল্পনা
আগামী ২২ নভেম্বর থেকে শুরু হতে চলা বর্ডার-গাভাস্কার সিরিজে পাঁচটি টেস্ট খেলবে ভারত। শামি যদি এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ায় না যান, তবে সিরিজের তৃতীয় বা চতুর্থ টেস্টে তাঁকে অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে। এতে তাঁর ফিটনেস আরও উন্নত হওয়ার সুযোগ থাকবে। একই সঙ্গে চোট থেকে পুরোপুরি সেরে না ওঠা অবস্থায় খেলতে নামার ঝুঁকিও এড়ানো যাবে।
পেস বিভাগে শামির অভাব
শামি না থাকায় ভারতের পেস বিভাগের মূল দায়িত্ব যশপ্রীত বুমরা এবং মহম্মদ সিরাজের উপর। রোহিত শর্মার অনুপস্থিতিতে অধিনায়কত্বের বাড়তি চাপও থাকবে বুমরার উপর। তৃতীয় পেসার হিসেবে আকাশ দীপ এগিয়ে থাকলেও চতুর্থ পেসারের ভূমিকার জন্য প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ এবং হর্ষিত রানার মধ্যে প্রতিযোগিতা হবে।
কেন শামি গুরুত্বপূর্ণ?
মহম্মদ শামি ভারতের পেস আক্রমণের অন্যতম স্তম্ভ। তাঁর সুইং, পেস এবং অভিজ্ঞতা দলের জন্য অমূল্য। দীর্ঘ টেস্ট সিরিজে একজন অভিজ্ঞ পেসারের প্রয়োজনীয়তা অনেকটাই। কিন্তু চোটের ইতিহাস থাকায় তাঁকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে চাইছে না বোর্ড।
সঠিক সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড শামির শরীরের উপর বাড়তি চাপ দিতে নারাজ। তাঁকে আরও কয়েকটি ম্যাচ খেলার সুযোগ দিয়ে তারপর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে পাঠানোর চিন্তা করা হচ্ছে। এতে দলের পেস বিভাগ শক্তিশালী হবে, আবার শামির চোটের ঝুঁকিও কমবে।