অশান্ত জঙ্গিপুরে থমথমে পরিবেশ!
মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে উত্তেজনা চরমে। সংশোধিত ওয়াকফ আইন ঘিরে ক্ষোভ ছড়িয়েছে বিভিন্ন স্তরে। মঙ্গলবারের বিক্ষোভের পরে বুধবার সকাল থেকেই বিস্তীর্ণ এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি, বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা, আর প্রশাসনের তরফে জারি করা হয়েছে ১৬৩ ধারা। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে রাস্তায় টহল দিচ্ছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ বাহিনী।
📛 কীভাবে শুরু হল উত্তেজনা?
মঙ্গলবার বিকেলে, সংখ্যালঘু ছাত্র ও যুব সংগঠনের ডাকে শুরু হয় বিক্ষোভ কর্মসূচি।
জঙ্গিপুরের ওমরপুর মোড় থেকে ধুলিয়ান বাজার পর্যন্ত জমায়েত করেন কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী। মূল দাবি— ওয়াকফ (সংশোধিত) আইন ২০২৫ প্রত্যাহার।
প্রথমে শান্তিপূর্ণ হলেও, দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে জাতীয় সড়ক ১২, যা উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের সংযোগরক্ষা করে। পুলিশের হস্তক্ষেপে সংঘর্ষ বাঁধে। অভিযোগ, বিক্ষোভকারীরা ইট ছুড়ে আক্রমণ করেন পুলিশকে, আগুন ধরিয়ে দেন পুলিশের গাড়িতে। পালটা লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন।
📵 ইন্টারনেট বন্ধ, কড়া নজরে প্রশাসন
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতেই প্রশাসন ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেয় জঙ্গিপুর ও সংলগ্ন এলাকায়। ঘোষণা করা হয়—
🔒 ১৬৩ ধারা জারি থাকবে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত।
🚫 ৫ জনের বেশি জমায়েত নিষিদ্ধ।
🔥 দাহ্য পদার্থ বহনে নিষেধাজ্ঞা।
🪓 লাঠি, ধারালো অস্ত্র নিয়ে বেরনো নিষিদ্ধ।
📣 প্ররোচনামূলক মন্তব্য বা গুজব ছড়ালে কড়া শাস্তি।
পুলিশের স্পষ্ট বার্তা—দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা গুজব ছড়িয়েছে বা হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করেছে, তাদেরও রেহাই দেওয়া হবে না।
🗣️ কে কী বলছেন?
জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর জানিয়ে দেন, এলাকায় তাঁর যাওয়া এখন উপযুক্ত নয়। তিনি বলেন,
“১৬৩ ধারা জারি আছে। আমার উপস্থিতি উত্তেজনা বাড়াতে পারে। আন্দোলনের নামে গুন্ডামি বরদাস্ত নয়। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন হলে আমার পূর্ণ সমর্থন থাকবে। আমি নিজেও সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশনের পক্ষে।”
অন্যদিকে, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ঘটনাকে উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেছেন। তাঁর মতে,
“রাজ্য সরকার রামনবমী শান্তিপূর্ণভাবে পালন করিয়ে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। তাই হিংসার বিরুদ্ধে প্রশাসনকে কঠোর হওয়াই উচিত।”
🧭 সামনে কী?
আগামী ১২ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টে শুনানি রয়েছে এই সংশোধিত ওয়াকফ আইন সংক্রান্ত মামলার। তার আগে রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ, রাজনৈতিক চাপানউতোর এবং প্রশাসনিক কড়াকড়ি নতুন মাত্রা যোগ করছে।
আপাতত শান্তিই বড় পরীক্ষা— প্রশাসনেরও, জনতারও। এখন দেখার, এই উত্তেজনার আগুন কতটা দ্রুত নিভিয়ে ফেলতে পারে রাজ্য সরকার। 🔥🕊️📵
পুরুষের ত্বকে ক্যানসারের ঝুঁকি ৫০% বেশি! সানস্ক্রিন মাখছেন ঠিকঠাক?