অল্লু অর্জুনকে
“পুষ্পা: দ্য রাইজ়”-এর সাফল্যের পর বহু প্রতীক্ষিত “পুষ্পা ২: দ্য রুল” অবশেষে মুক্তি পেয়েছে। তিন বছরের দীর্ঘ প্রস্তুতির পর পরিচালক সুকুমারের এই ছবি মুক্তি পেলেও তাতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। ছবিতে একদিকে যেমন উত্তরের ও দক্ষিণের ভারতের ঐতিহাসিক রাজনৈতিক দ্বন্দ্বকে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে, অন্যদিকে অল্লু অর্জুনকে একজন “অতিমানব” হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার আপ্রাণ চেষ্টা নজরে পড়ে। তবে দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা ৯ মিনিটের এই ছবি শেষমেশ কতটা দর্শক মন ছুঁতে পেরেছে, সেটাই প্রশ্ন।
দক্ষিণ বনাম উত্তর ভারতের দ্বন্দ্বের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট
ছবির একটি বড় দিক হলো এর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, যেখানে দক্ষিণ ভারতের সঙ্গে উত্তর ভারতের ঐতিহাসিক দ্বন্দ্ব তুলে ধরা হয়েছে। পুলিশ আধিকারিক ভাঁওর সিংহ শেখাওয়াত (ফাহাদ) একজন রাজস্থানি, যিনি এই ছবির অন্যতম খলনায়ক। ছবির প্রধান চরিত্র পুষ্পারাজ ছাড়া প্রায় সব পুরুষ চরিত্র হয় তার সহযোগী, নয়তো শত্রু। কোনও নিরপেক্ষ বা ধূসর চরিত্রের জায়গা এখানে নেই। ফলে, ছবির রাজনীতি যতটা গভীরতার দাবি করেছিল, তার তুলনায় সেটি বেশি সরলীকৃত।
নারীর ভূমিকা এবং সমাজিক বার্তা
রশ্মিকা মন্দানার মতো প্রতিভাবান নায়িকাকে ব্যবহার করার সুযোগ ছবিতে খুব কমই নেওয়া হয়েছে। তার চরিত্র প্রায় গৌণ হয়ে থেকেছে। যদিও ছবিতে বেশ কিছু শিক্ষণীয় বার্তা রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, পণপ্রথার বিরুদ্ধে এবং সন্তানকে