অর্জুনের বাড়িতে হামলা
গত ৪ অক্টোবর ব্যারাকপুরের প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহের বাড়িতে হামলার অভিযোগ ওঠে। অভিযুক্তরা তাঁর ভাটপাড়ার বাড়িতে ইট-বোমা-গুলি নিয়ে হামলা চালায়, যা নিয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এই হামলার ঘটনা নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে একটি শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে আদালত রাজ্য সরকারের কাছে জানতে চেয়েছে, কেন্দ্রকে এই বিষয়ে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে কিনা।
হাইকোর্টের বিচারপতি শম্পা দত্ত পালের অবকাশকালীন বেঞ্চ মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার পরবর্তী শুনানিতে রাজ্য সরকারকে এই বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে। জানা গেছে, এই হামলার ঘটনায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-কে দিয়ে তদন্তের আবেদন জানানো হয়েছে। পুলিশ ইতোমধ্যেই এই ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু করেছে এবং অভিযোগ উঠেছে যে ‘এক্সপ্লোসিভ সাবস্ট্যান্স’ আইন প্রয়োগ করা উচিত ছিল।
অর্জুন সিংহের আইনজীবীরা আদালতে জানান, কেন্দ্রের পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে জানানো হয়েছে যে রাজ্য সরকার ঘটনার কথা জানালে পরে স্থির করা হয় এনআইএ তদন্ত হবে কি না। এরপর বিচারপতি রাজ্যের কৌঁসুলির কাছে জানতে চান, এনআইএ আইনের ৬ নম্বর ধারা অনুসারে রাজ্য এই বোমা বিস্ফোরণের রিপোর্ট কেন্দ্রকে দিয়েছে কিনা। বিচারপতির নির্দেশে, পরবর্তী শুনানিতে রাজ্য এই বিষয়ে আদালতকে রিপোর্ট জমা দিতে বাধ্য থাকবে।
এছাড়া, আদালত অর্জুনের বাড়ির সংলগ্ন সব সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংরক্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছে, যাতে এই ঘটনার তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া যায়। ছুটির পরে নিয়মিত বেঞ্চে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
অর্জুন সিংহের দাবি, তাঁর বাড়িতে হামলার সময় স্থানীয় পুলিশ উপস্থিত ছিল, তবুও হামলাকারীরা প্রকাশ্যে ২৫টির বেশি বোমা নিক্ষেপ করেছে। তিনি দাবি করেন, হামলাকারীরা তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী। ঘটনার পরে, স্থানীয় কাউন্সিলরের ছেলে এবং তাঁর সঙ্গে ১৫-২০ জনের একটি দল হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এই হামলার ঘটনাটি রাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি করেছে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে। অর্জুন সিংহ এই ঘটনার তদন্তের জন্য এনআইএ-কে জড়িত করার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এবং বর্তমানে এই বিষয়টির গুরুত্ব বিচারাধীন রয়েছে।
এই হামলার পেছনে রাজনৈতিক কারণ রয়েছে কিনা, তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রের মধ্যে সমন্বয় এবং তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। শহরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের কার্যকরী পদক্ষেপ প্রয়োজন।