Monday, December 1, 2025

‘অপারেশন সিঁদুর’-এ ধ্বস্ত পাকিস্তানের নুর খান বিমানঘাঁটি, আসল নিয়ন্ত্রণ আমেরিকার হাতে? উঠছে বিস্ফোরক প্রশ্ন

Share

‘অপারেশন সিঁদুর’-এ ধ্বস্ত পাকিস্তানের নুর খান বিমানঘাঁটি!

অপারেশন সিঁদুর’ নামে চালানো সামরিক অভিযানে পাকিস্তানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নুর খান বায়ুসেনা ঘাঁটিকে কার্যত ধ্বংস করে দিয়েছে ভারতীয় বাহিনী। কিন্তু চমক এখানেই শেষ নয়। ইসলামাবাদের বিশিষ্ট নিরাপত্তা বিশ্লেষক ইমতিয়াজ গুলের বিস্ফোরক দাবিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে গোটা অঞ্চলজুড়ে। তাঁর বক্তব্য, এই ছাউনিটি আদতে পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে নেই—পুরোপুরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে রয়েছে এই বিমানঘাঁটির মালিকানা। এ দাবি ঘিরে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে—পাক সেনার নিজের ঘাঁটিতেই কি সত্যিই তাদের ঢোকার অনুমতি নেই?

গুলের বক্তব্যের সত্যতা যদিও স্বাধীনভাবে যাচাই হয়নি, তবে তাঁর ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়োতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, পাকিস্তানি ফৌজি অফিসারদের ওই ঘাঁটি ব্যবহারের কোনও অধিকার নেই। এমনকি একবার নাকি একজন পাক অফিসার মার্কিন মালবাহী বিমানকে আটকে প্রশ্ন করতে গিয়ে পিস্তল তাক করার হুমকিও পান মার্কিন সৈন্যদের কাছ থেকে! ভিডিয়োটি শোনা মাত্রই পাকিস্তান জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অনেকেই দাবি করছেন, ভারত যে নুর খান ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে, তার ফলে আমেরিকার সামরিক সম্পদও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই কি যুদ্ধ থামাতে তড়িঘড়ি উদ্যোগ নিয়েছিল ওয়াশিংটন?

ঘাঁটিতে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার পর থেকেই পাকিস্তানের সেনা এবং সরকার নীরব ভূমিকা নিয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই হামলায় স্কোয়াড্রন লিডার পদমর্যাদার একাধিক অফিসারের মৃত্যু হয়েছে। এমনকি তুরস্ক-সহ আরও কয়েকটি দেশের সেনার উপস্থিতিরও কথা শোনা যাচ্ছে, যদিও সরকারিভাবে এ নিয়ে কোনও তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। প্রশ্ন উঠছে, এই ছাউনির আশেপাশে থাকা ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক ভাণ্ডার কি ভারতীয় হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে?

আরও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে তখনই, যখন জানা যায় আমেরিকার পরমাণু বিকিরণ শনাক্তকারী বিমান ‘বিচক্রাফ্‌ট বি৩৫০’ ইসলামাবাদে অবতরণ করেছে। এই বিমান সাধারণত পরমাণু দুর্ঘটনার পরই ব্যবহৃত হয়। অনলাইন সূত্রে জানা গেছে, ইসলামাবাদের নিকটবর্তী এলাকায় বিকিরণের উপসর্গে বহু বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। যদিও আন্তর্জাতিক পারমাণবিক সংস্থা আইএইএ বা পাকিস্তান সরকার এখনও কিছু জানায়নি।

বিশ্লেষকদের মতে, নুর খান বিমানঘাঁটির কৌশলগত গুরুত্ব অপরিসীম। এটি শুধু ইসলামাবাদের কাছাকাছি নয়, বরং এখান থেকেই পরিচালিত হয় পাকিস্তানের বেশিরভাগ যুদ্ধবিমান কার্যক্রম, সঙ্গে রয়েছে প্রশিক্ষণ কলেজ ও ‘এয়ার মোবিলিটি উইং’, ‘এয়ার ডিফেন্স কমান্ড’ এবং ‘স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান্‌স ডিভিশন’-এর সদর দফতর। অর্থাৎ পারমাণবিক অস্ত্র রক্ষার গুরুদায়িত্ব বহন করে এই ঘাঁটি।

সব মিলিয়ে, ভারতের সুনিপুণ হামলা শুধু এক সামরিক ছাউনিকে নয়, পাকিস্তানের সার্বভৌমতাকেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে। আর এই অভিযানে যে বিদেশি শক্তির প্রভাবও রয়েছে, তা বুঝিয়ে দিচ্ছে, উপমহাদেশে এক নতুন ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার পর্ব শুরু হতে চলেছে।

বাড়ির আতঙ্ক কাটিয়ে জীবন বদলের পথে করিনা: চুয়াল্লিশে পা দিয়েই নিলেন এক দৃঢ় সিদ্ধান্ত

Read more

Local News