অপরাজেয় নয়, চাপে রাহানে!
আইপিএল ২০২৫-এর মাঝপথে এসে কলকাতা নাইট রাইডার্সের পারফরম্যান্স ভক্তদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। আট ম্যাচে পাঁচ হার, আর সেই ব্যর্থতার কেন্দ্রে রয়েছেন দলের নতুন অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে। মরাঠি ভাষায় ‘অজিঙ্ক’ মানে ‘অপরাজেয়’। কিন্তু এবারের আইপিএলে সেই নামের মতো পারফর্ম করতে পারছেন না রাহানে।
গতবার চ্যাম্পিয়ন হয়েও কেকেআর এই মরসুমে শ্রেয়স আয়ারকে ছেড়ে দেয়, আর অধিনায়কের দায়িত্ব তুলে দেয় ৩৬ বছর বয়সি রাহানের কাঁধে। যদিও তাঁর অভিজ্ঞতা কম নয়—ভারতকে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজে নেতৃত্ব দিয়ে জয় এনে দিয়েছেন, রাজস্থান রয়্যালস ও রাইজিং পুণে জায়ান্টসের হয়েও অধিনায়কত্ব করেছেন। কিন্তু ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যে কৌশল আর ফ্লেক্সিবিলিটি দরকার, সেখানে রাহানে পিছিয়ে পড়ছেন।
প্রথম হারের পর ইডেন গার্ডেন্সের পিচকে দোষ দিয়েছিলেন রাহানে। পঞ্জাবের বিরুদ্ধে ১১২ রান তাড়া করতে গিয়ে ১৬ রানে হেরে দায় নিয়েছিলেন নিজের ঘাড়ে। এমন আত্মদায়িত্ব প্রশংসনীয় হলেও আইপিএলে জয়ই শেষ কথা। পরিকল্পনার অভাব, একঘেয়ে বোলার বদলের ধারা এবং পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে না নেওয়ার অক্ষমতা যেন স্পষ্ট হয়ে উঠছে তাঁর নেতৃত্বে। যেমন আন্দ্রে রাসেল উইকেট নেওয়ার পরও তাঁকে আর বল না দেওয়া, যা রীতিমতো অবাক করেছে অনেককে।
হ্যাঁ, সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পরই কেকেআর তাঁকে দলে নেয়—৯ ম্যাচে ৪৬৯ রান, স্ট্রাইক রেট ১৬৪-এর বেশি। তাই ব্যাটসম্যান হিসেবে তাঁকে নেওয়া ভুল নয়। কিন্তু শুধুমাত্র অধিনায়ক বানাতে রাহানেকে কেনার সিদ্ধান্ত যে কতটা যুক্তিযুক্ত, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ভারতের প্রাক্তন তারকা হরভজন সিংহ। তাঁর মতে, নারাইন, রাসেল বা বেঙ্কটেশ আয়ারও হতে পারতেন দলনেতা।
কোচ প্রবীণ আমরে বলেন, রাহানে একজন আদর্শ ছাত্র, পরিশ্রমী এবং শৃঙ্খলাপরায়ণ। তবে তিনি নিজেও স্বীকার করেন, টি-টোয়েন্টিতে রাহানের সেরা সময় এখনো আসেনি। মুস্তাক আলি ট্রফিতে মুম্বই নেতৃত্ব দিয়েছে শ্রেয়স আয়ার, রাহানে নন—এই তথ্যটাও কিছু বলছে।
সবচেয়ে বড় প্রশ্ন—আইপিএলের চাপ কি রাহানেকে দমিয়ে দিচ্ছে? ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার মহম্মদ কাইফ মনে করেন, রাহানেকে এখন স্বার্থপর হতে হবে। একবার সন্দেহ থাকা সত্ত্বেও রিভিউ না নেওয়াকে ভুল মনে করছেন কাইফ। তিনি বলেন, “রাহানে দলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটার। তাঁকে আগলে রাখতে হবে নিজের উইকেট।”
২০২১ সালে বর্ডার-গাওস্কার ট্রফি জিতে দেশে রাজার মতো ফিরেছিলেন রাহানে। কিন্তু আইপিএল, বিশেষ করে কেকেআরের মতো দলের নেতৃত্ব, আলাদা চ্যালেঞ্জ। রাহানে নিজেও জানেন, এই পরিস্থিতি কতটা কঠিন। তাঁর সামনে এখন ছয়টি ম্যাচ, যেখানে প্রমাণ করতে হবে তিনি সত্যিই অপরাজেয়। কারণ জিততে না পারলে, কেবল ম্যাচ নয়, হয়তো নেতৃত্বও হারাতে পারেন অজিঙ্ক।
সামনেই কি সামান্থার বিয়ে? চর্চিত প্রেমিক রাজ নাদিমরুর সঙ্গে তিরুপতির মন্দিরে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী!