অনন্ত সিংহের জীবনীতে জিৎ!
বাংলা ছবির দর্শকদের জন্য আসছে এক ব্যতিক্রমী ঐতিহাসিক কাহিনি। চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের অন্যতম নায়ক অনন্ত সিংহের জীবনী এবার বড় পর্দায় ফুটে উঠবে। তাঁর জীবন, সংগ্রাম এবং নাটকীয় বাঁকগুলোকে কেন্দ্র করে পরিচালক পথিকৃৎ বসু তৈরি করছেন নতুন ছবি — ‘কেউ বলে বিপ্লবী, কেউ বলে ডাকাত’। আর অনন্ত সিংহের চরিত্রে দেখা যাবে টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা জিৎ-কে।
এই ছবির সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সুরকার শান্তনু মৈত্র। প্রায় দু’বছর পর বাংলা ছবিতে ফিরছেন তিনি। শেষবার তিনি দেব অভিনীত ‘প্রধান’ ছবির সুরে শ্রোতাদের মন জিতে নিয়েছিলেন। এবার প্রথমবারের মতো জিতের ছবিতে কাজ করছেন শান্তনু। নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তিনি বলেন,
“প্রথমবার জিতের সঙ্গে কাজ করছি বলে আমি ভীষণ উৎসাহিত। অনন্ত সিংহের জীবনের প্রতিটি অধ্যায়— স্বাধীনতা সংগ্রামী থেকে ব্যাংক ডাকাতি, আর সেখান থেকে চলচ্চিত্র প্রযোজক হয়ে ওঠা— আমাকে গভীরভাবে মুগ্ধ করেছে। তাঁর জীবন সত্যিই সিনেমায় রূপ দেওয়ার মতো।”
পরিচালক পথিকৃৎ বসুও সমানভাবে আনন্দিত। বহুদিন ধরেই শান্তনুর কাজের অনুরাগী তিনি। নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন,
“শান্তনুদার সুর সবসময় আমার জন্য অনুপ্রেরণা। এবার তাঁর সঙ্গে একসঙ্গে কাজের সুযোগ পেয়ে আমি খুবই উচ্ছ্বসিত।”
ছবির কাহিনি
ছবিতে দেখানো হবে কীভাবে অনন্ত সিংহ ধীরে ধীরে বিপ্লবী নেতা মাস্টারদা সূর্য সেনের ছত্রছায়ায় এসে স্বাধীনতা সংগ্রামে যুক্ত হয়েছিলেন। তাঁর সাহসিকতা, বিপ্লবী কর্মকাণ্ড, দেশপ্রেম এবং পরে জীবনের নানা মোড়— সবই থাকবে কাহিনিতে। শুধু ইতিহাস নয়, মানুষের মনের ভেতরের দ্বন্দ্ব এবং এক ব্যক্তির জীবনযাত্রার নানা দিকও তুলে ধরা হবে।
প্রযোজনা ও অভিনয় দিক
নন্দী মুভিজের প্রযোজনায় ও প্রদীপকুমার নন্দীর পরিবেশনায় তৈরি হচ্ছে এই ছবি। টলিউডে বহু বছর পর জিৎ নিজের প্রযোজনা সংস্থার বাইরে কাজ করছেন। এই কারণে ছবিটি তাঁর জন্যও বিশেষ। নায়কের বিপরীতে কে অভিনয় করবেন, তা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা হয়নি। তবে টলিপাড়ায় গুঞ্জন, দীর্ঘদিন পরে এই ছবিতে জিতের সঙ্গে অভিনয়ে ফিরতে পারেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। যদি তা সত্যি হয়, তবে দর্শকদের জন্য তা হবে বড় চমক।
কেন গুরুত্বপূর্ণ এই ছবি
ঐতিহাসিক কাহিনিকে আধুনিক চলচ্চিত্রের আঙ্গিকে তুলে ধরতে গেলে যেমন গবেষণার প্রয়োজন, তেমনই দরকার শক্তিশালী অভিনয় ও সঙ্গীত। অনন্ত সিংহের মতো এক জটিল ও অনন্য চরিত্র ফুটিয়ে তোলার জন্য জিতের অভিজ্ঞতা ও ব্যক্তিত্ব নির্মাতাদের ভরসা দিচ্ছে। আর শান্তনুর সঙ্গীত এই কাহিনিকে নতুন মাত্রা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
টলিউডে দেশপ্রেম, ইতিহাস ও ব্যক্তিগত লড়াই মিলিয়ে এই ধরণের গল্প বিরল। ফলে ‘কেউ বলে বিপ্লবী, কেউ বলে ডাকাত’ কেবল একটি ছবি নয়, বরং এক টুকরো ইতিহাসকে নতুন প্রজন্মের সামনে পৌঁছে দেওয়ার প্রয়াস। দর্শকদের কাছে এটি হতে পারে বিনোদনের সঙ্গে শিক্ষণীয় এক অভিজ্ঞতা।
শুল্কযুদ্ধের মাঝেই আমেরিকা সফরে মোদী? ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে

