🔥 ‘বন্যা’য় উত্তাল ব্রিগেড! সাহু-সেলিমের তেজে ঘুম উড়ল শাসকের 🔥

সাহু-সেলিমের তেজে ঘুম উড়ল শাসকের !

প্রচণ্ড রোদের দুপুরেও মানুষের ঢল! ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড যেন জনসমুদ্র। রোববার সেখানে এক ঐতিহাসিক দৃশ্যের সাক্ষী থাকল বাংলা—সিপিএমের ডাকে শ্রমিক, কৃষক, ক্ষেতমজুর ও বস্তিবাসীদের চারটি গণসংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত হল মহাসমাবেশ।

বেলা ৩টেয় সমাবেশ শুরু হলেও মাঠ ভরতে সময় লাগেনি। বক্তব্য রাখেন ছয়জন বক্তা। নেতৃত্বে ছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কৃষক নেতা অমল হালদার, ক্ষেতমজুর সংগঠনের নিরাপদ সর্দার, বস্তি উন্নয়ন সমিতির সুখরঞ্জন দে, সিটুর অনাদি সাহু এবং লড়াইয়ের নতুন মুখ বন্যা টুডু।

✊ শুরুর আগুন: অনাদি সাহু তৃণমূল-বিজেপিকে তুলোধোনা

সমাবেশের সূচনা করেন অনাদি সাহু। তিনি সরাসরি তৃণমূল ও বিজেপিকে একযোগে আক্রমণ করে বলেন, “১৪ বছরের শাসনে রাজ্যে চলছে লুটের উৎসব। ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি গেছে, ৩২ হাজার ঝুলে আছে। ছাত্র-যুবকরা পরিযায়ী শ্রমিক হতে বাধ্য হচ্ছে।” সাহু কেন্দ্রীয় সরকারকেও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “অগ্নি নিয়ে খেলবেন না!”

🌾 কৃষকের আর্তি: অমলের কান্না

কৃষক নেতা অমল হালদার বলেন, “ভাত পাব তো আগামী দিনে?” তাঁর মতে, সারের দাম, বীজের দাম, সবই বেড়েছে, অথচ ফসলের দাম নেই। জমি কমছে, উৎপাদনও। রাজ্য কৃষিক্ষেত্রে নীরব। তিনি প্রশ্ন তোলেন—এত কিছু হলে দুর্ভিক্ষের মতো ছবি কি সামনে আসছে?

🧱 ক্ষেতমজুরের হাঁকডাক

নিরাপদ সর্দার স্পষ্ট বলেন, “এই ব্রিগেড দেখে দিদির ঘুম উড়ে যাবে।” তিনি ১০০ দিনের কাজকে ২০০ দিনে রূপান্তর করার দাবি জানান। বলেন, “পার্লামেন্টে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে আলোচনা হয় না, হয় শুধু মন্ত্রী-সাংসদের বেতন বৃদ্ধির।”

⚡ বস্তির স্বপ্ন: বিদ্যুৎ ও স্বত্ব

সুখরঞ্জন দে জানান, বস্তিবাসীরা শহর থেকে উৎখাত হওয়ার আশঙ্কায় আছেন। তিনি রাজ্য সরকারের কাছে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, পানীয় জল, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার সুযোগের দাবিতে সরব হন। বলেন, “অন্য রাজ্য পারলে, তোমরা কেন পারবে না?”

💥 বন্যার প্রত্যাঘাত: ‘ছাব্বিশে উইকেট ফেলব!’

ক্ষেতমজুর নেতা বন্যা টুডুর কণ্ঠে যেন আগুন। মাঠ কাঁপিয়ে বলেন, “শহরের লোকজন আমাদের জানে না। কিন্তু আমরা জানি, কীভাবে লড়তে হয়।” তিনি ঘোষণা করেন, “ছাব্বিশে আমরাও খেলা দেখাব। উইকেট ফেলব।” তাঁর কথায়, মেয়েদের সম্মান নেই, ধর্ষণের ঘটনায় টাকা দিয়ে চুপ করানো হচ্ছে। এ লড়াই থামবে না।

🗣️ সেলিমের বজ্রনিনাদ: সম্প্রীতির হাতিয়ার লাল ঝান্ডা

শেষ বক্তা সেলিম তাঁর বক্তব্যে মুর্শিদাবাদ প্রসঙ্গ টেনে আনেন। বলেন, “আমরা হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতির লড়াই লড়ি। মন্দির-মসজিদ নয়, রুটি-রুজির লড়াইতে আমরা শামিল।” তিনি ওয়াকফ ইস্যুতে বলেন, “সারা দেশে প্রতিবাদ হচ্ছে, শুধু তৃণমূল-বিজেপি চুপ। কারণ এদের স্ক্রিপ্ট লেখা নাগপুরে।”

তিনি হুঁশিয়ারি দেন, “যারা দুর্নীতির পাহাড় তৈরি করেছে, যারা চাকরি লুঠ করেছে, তারা দূরবীন দিয়েও লাল ঝান্ডা দেখতে পাবে না। কারণ এই ব্রিগেড ঘুম ওড়াবে।”

🔍 সংক্ষিপ্ত তথ্যচিত্র (SERP):

📝 উপসংহার:
বামেদের ব্রিগেড যেন শুধুই একটি রাজনৈতিক সভা নয়, বরং এটা ছিল মানুষের ভরসার মঞ্চ। যেখানে কৃষক থেকে ক্ষেতমজুর, শহরের বস্তিবাসী থেকে শ্রমজীবী নারী—সবাই মিলেই বলেছেন, “আর নয়। এবার পাল্টাবে সময়।”

এসএসসি নিয়োগে আসছে বড় পরিবর্তন: পরীক্ষার্থীরা এবার উত্তরপত্রের কার্বন কপি পাবেন!