💔 গরিব হওয়ায় প্রেমিকা ছেড়ে গিয়েছিলেন! ছেঁড়া জামা ও ১৬০০ টাকা নিয়ে বলিউডে পা রেখে আজ কোটি টাকার মালিক ধর্মেশ ইয়েলান্দে

গরিব হওয়ায় প্রেমিকা ছেড়ে গিয়েছিলেন!

বলিউডের গ্ল্যামার জগতে যাঁদের দেখি আজ, তাঁদের অনেকের পেছনের গল্প অজানা। এমনই এক অনুপ্রেরণাদায়ক গল্প ধর্মেশ ইয়েলান্দে (Dharmesh Yelande)-এর—একজন সাধারণ পরিবারের ছেলে, যিনি একসময় পিওনের চাকরি করতেন, আজ তিনি কোটি টাকার মালিক, জনপ্রিয় নৃত্যশিল্পী ও অভিনেতা।

🎬 কঠিন শুরুর গল্প

ধর্মেশের শৈশব কেটেছে চরম দারিদ্র্যের মধ্যে। তাঁর বাবার ছোট চায়ের দোকানটি স্থানীয় পুরসভা ভেঙে দেয়, আর সেই আঘাতেই সংসার প্রায় পথে বসে। বাবা দিনে ৫০–৬০ টাকা আয় করতেন, তাতেই চলত পুরো পরিবার।

💃 নাচই জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়

ছোট থেকেই বলিউড তারকাদের নাচ দেখে শেখা ছিল ধর্মেশের প্রিয় কাজ। এক স্কুল প্রতিযোগিতায় জেতার পর বাবা নিজের সামর্থ্য মতো তাঁকে নাচের স্কুলে ভর্তি করান। তারপর আর পিছু ফেরেননি।

কলেজের প্রথম বর্ষেই পড়া ছেড়ে পিওনের চাকরি শুরু করেন এবং পাশপাশি নাচ শেখাতে থাকেন। মাসে মাত্র ₹১৬০০ রোজগার করতেন, কিন্তু তবুও সেই টাকাতেই সংসার সামলে নিজের নাচের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখেন।

🌟 বলিউডে প্রবেশ

‘Dance India Dance’-এর মতো জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো থেকে সাফল্যের সূচনা। বিচারক রেমো ডিসুজা তাঁর প্রতিভায় এতটাই মুগ্ধ হন যে, পরবর্তী সময়ে ‘ABCD’ ছবিতে তাঁকে সুযোগ দেন। এই ছবিই ধর্মেশের জীবন বদলে দেয় — আজ তিনি শুধুমাত্র নৃত্যশিল্পী নন, বরং বলিউডের এক সফল কোরিওগ্রাফার ও অভিনেতা।

💸 সংগ্রাম থেকে সাফল্যের পথে

আজও ধর্মেশ তাঁর বাবাকে শ্রদ্ধা করেন, যিনি এখনও চায়ের দোকান চালিয়ে যাচ্ছেন। এক সাক্ষাৎকারে ধর্মেশ বলেন, “আমি বাবাকে বলেছিলাম, এখন আর কাজ করতে হবে না। কিন্তু তিনি হেসে বলেছিলেন — কাজই আমার গর্ব।”

❤️ ব্যক্তিগত জীবন

দারিদ্র্যের কারণে একসময় প্রেমিকা তাঁকে ছেড়ে গিয়েছিলেন। ধর্মেশ বলেন, “আমি চেয়েছিলাম, একদিন এমন জায়গায় পৌঁছোব যাতে টাকার জন্য কেউ আমাকে ছোট না করে।”
আজও তিনি অবিবাহিত, যদিও বলিউডে গুঞ্জন আছে যে নৃত্যশিল্পী বিনিতা শর্মার সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা রয়েছে।

🔗 আরও পড়ুন

👉 Oppo F31 সিরিজ ভারতের ফেস্টিভ সিজনে আসছে – টেকনোস্পোর্টসের এই রিপোর্টে জানুন ফেস্টিভ মরসুমে নতুন প্রযুক্তির চমক।
👉 আরও গল্প পড়ুন: bangla.technosports.co.in – এখানে পাবেন বিনোদন, প্রযুক্তি, ও লাইফস্টাইলের আরও অনুপ্রেরণাদায়ক গল্প।

শেষ কথা:
ধর্মেশ ইয়েলান্দের জীবন প্রমাণ করে — যতই প্রতিকূলতা আসুক, যদি আপনি নিজের স্বপ্নে বিশ্বাস রাখেন, তবে সেই স্বপ্ন একদিন বাস্তব হয়ই। তাঁর যাত্রা আজ লক্ষ তরুণের প্রেরণা। 🌠