রিয়ালের ভরাডুবি!
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মানেই চমক, আর সেই চমকের ঝলক দেখা গেল কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম পর্বেই! একদিকে রিয়াল মাদ্রিদের বিপর্যয়, অন্যদিকে বায়ার্ন মিউনিখের হোঁচট — ফুটবলপ্রেমীদের জন্য এক রুদ্ধশ্বাস রাত।
🔴 আর্সেনালের বিরুদ্ধে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়ল রিয়াল
১৫ বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদকে নিজেদের ঘরের মাঠে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিল ইংল্যান্ডের ক্লাব আর্সেনাল।
প্রথমার্ধে গোল না হলেও, দ্বিতীয়ার্ধে শুরু হয় আর্সেনালের দাপট।
- ৫৮ মিনিটে গোলের খাতা খোলেন ডেকলান রাইস।
- ৭০ মিনিটে ফের গোল করে ব্যবধান বাড়ান রাইসই।
- মাত্র ৫ মিনিট পরে স্প্যানিশ মিডফিল্ডার মিকেল মেরিনো তৃতীয় গোলটি করে রিয়ালের কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেন।
রিয়ালের তারকা লাইনআপ — কিলিয়ান এমবাপে, ভিনিসিয়াস জুনিয়র, জুড বেলিংহ্যাম — কেউই এই ম্যাচে নজর কাড়তে পারলেন না। বরং পুরো ম্যাচেই খেই হারিয়ে ছিলেন তারা।
🟥 লাল কার্ড, বড় ধাক্কা রিয়ালের
সংযুক্তি সময়ে রিয়ালের গুরুত্বপূর্ণ মিডফিল্ডার এডুয়ার্ডো কামাভিঙ্গা লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। ফলে ফিরতি লেগে তিনি অনুপস্থিত থাকবেন, যা দলের কাছে আরও বড় মাথাব্যথা।
এখন সেমিফাইনালে উঠতে রিয়ালকে অন্তত ৪ গোলের ব্যবধানে জিততেই হবে। ৩-০তে জিতলে খেলা যাবে টাইব্রেকারে। কিন্তু এমবাপে-ভিনিসিয়াসদের সামনে এই চ্যালেঞ্জ যেন এক পাহাড়।
🔵 ইন্টার মিলানের দুর্দান্ত জয়, ধাক্কা খেল বায়ার্ন
দিনের আরেকটি হাইভোল্টেজ ম্যাচে ইন্টার মিলান ২-১ গোলে হারাল জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখকে।
- ৩৮ মিনিটে ইন্টারের হয়ে গোল করেন আর্জেন্টিনার স্ট্রাইকার লাউতারো মার্তিনেস।
- বায়ার্ন মরিয়া চেষ্টা চালায়, যার ফল মেলে ৮৫ মিনিটে— টমাস মুলার গোল করে সমতা ফেরান।
- কিন্তু সেই আনন্দ স্থায়ী হয়নি। মাত্র তিন মিনিট পর ডেভিড ফ্রাত্তেসি গোল করে ইন্টারকে আবার এগিয়ে দেন।
মুলারের কাছে এটি হয়তো বায়ার্নের জার্সিতে শেষ মরসুম। শেষবারের মতো দলকে ট্রফি দিতে মরিয়া হলেও ইন্টারের সামনে দাঁড়াতে পারলেন না।
🔮 সামনে কী?
রিয়ালের জন্য ফিরতি লেগে এক প্রকার ‘ডু অর ডাই’। ঘরের মাঠে অন্তত চার গোলের জয় ছাড়া সেমিফাইনালের টিকিট অসম্ভব।
আর বায়ার্নকে ইন্টার মিলানের মাটিতে জিততেই হবে — কঠিন, কিন্তু অসম্ভব নয়।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের উত্তাপ এখন তুঙ্গে। ফুটবলপ্রেমীরা অপেক্ষা করছেন ফিরতি লেগের সেই নাটকীয় রাতগুলোর জন্য। 🎭🔥
পুরুষের ত্বকে ক্যানসারের ঝুঁকি ৫০% বেশি! সানস্ক্রিন মাখছেন ঠিকঠাক?