বৈভবের ১৪-তেই জীবনের পাঠ শেখাচ্ছে ক্রিকেট!
মাত্র ১৪ বছর বয়সেই ঝড় তুলে আলোচনায় এসেছিল একটি নাম—বৈভব সূর্যবংশী। আগের ম্যাচেই ৩৫ বলে শতরান করে চমকে দিয়েছিল ক্রিকেটবিশ্বকে। কিন্তু বৃহস্পতিবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে নামতে না নামতেই সাজঘরে ফেরেন এই বিস্ময় বালক। ম্যাচের দ্বিতীয় বলেই আউট! জীবনের মতোই ক্রিকেটও যে ভারসাম্য রেখে চলা খেলা—এই পাঠটাই যেন পাচ্ছে বৈভব।
সাফল্যের শিখর থেকে হঠাৎ পতন
পূর্বের ম্যাচে ইশান্ত শর্মা, রশিদ খানদের উপর রীতিমতো ধ্বংসলীলা চালিয়ে ছক্কা-চারের বন্যা বইয়ে দিয়েছিল বৈভব। ৩৫ বলে শতরান করে উঠে এসেছিল সংবাদ শিরোনামে। জয়পুরে তাঁকে দেখতে মাঠে হাজির হয়েছিলেন ইংল্যান্ডের জাতীয় ফুটবল দলের প্রাক্তন কোচ গ্যারেথ সাউথগেট-ও। কিন্তু বাস্তব যে এতটা নিষ্ঠুর হতে পারে, তা হয়তো তখন বুঝতেই পারেনি বৈভব।
এবার প্রতিপক্ষ আরও ভয়ঙ্কর
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে নামার আগে বৈভবকে ঘিরে উত্তেজনার পারদ ছিল তুঙ্গে। বিপক্ষে ছিলেন যশপ্রীত বুমরাহ, ট্রেন্ট বোল্ট, হার্দিক পাণ্ড্য-র মতো ভয়ঙ্কর সব বোলার। তবে তাঁদের মুখোমুখি হবার আগেই দীপক চহরের দুর্দান্ত ডেলিভারিতে বিভ্রান্ত হয়ে দ্বিতীয় বলেই ফেরেন তিনি। ঝড়ের মতো আসা বৈভবের ইনিংস এবারে এক ঝটকাতেই থেমে গেল।
সাফল্য-বিফলতা একসঙ্গেই শেখাচ্ছে ক্রিকেট
যখন শতরান করেছিলেন, চারদিক থেকে প্রশংসা আসতে থাকে। অনেকেই তাঁকে “ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ” বলে ঘোষণা করতে শুরু করে। কিন্তু এই ম্যাচের পর নিশ্চয়ই বুঝতে পারছে বৈভব, প্রতিটা দিনই সমান হবে না। সাফল্য এবং ব্যর্থতা—দু’টিকেই গ্রহণ করার মানসিকতা রাখতে হয় একজন খেলোয়াড়ের।
প্রথম ম্যাচে আউট হয়ে কেঁদে ফেলেছিল বৈভব, কিন্তু এ দিনের শূন্য রানে ফেরার পর আর চোখে জল দেখা যায়নি। এটা নিঃসন্দেহে প্রমাণ করে, সে ধীরে ধীরে মানিয়ে নিচ্ছে ক্রিকেটের বাস্তবতা।
বয়স কম হলেও শিক্ষা বড়
১৪ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক মানের মঞ্চে খেলা এক দুর্লভ অভিজ্ঞতা। প্রতিপক্ষ যত বড়ই হোক না কেন, আত্মবিশ্বাস ও স্থিরতা ধরে রাখাই একজন ক্রিকেটারের আসল পরিচয়। আর সেই শিক্ষা বৈভব নিচ্ছে খুব অল্প বয়সেই। হার-জিতের খেলায় শুধু জয় নয়, কীভাবে হেরে আবার ফিরে আসতে হয়, সেটাই আসল চ্যালেঞ্জ।
ক্রিকেট নয়, জীবনের পাঠ
বৈভব সূর্যবংশীর এই উত্থান-পতনের গল্প শুধু ক্রিকেটপ্রেমীদের নয়, প্রত্যেক কিশোরের জন্য এক অনুপ্রেরণার বার্তা। এই বয়সেই শিখছে—জীবন যেমন সব সময় একরকম যায় না, ক্রিকেটও তেমনই। কখনও উড়ান, কখনও ধাক্কা—তবু থেমে থাকলে চলবে না। সামনে তাকাতে হবে, এগিয়ে যেতে হবে।
এই তো শুরু বৈভব, সামনে আরও অনেক ম্যাচ, অনেক গল্প—জয়-পরাজয়ের মাঝেও যেন নিজের আত্মবিশ্বাসটা কখনও না হারায় সে।
গরমে বাহুমূলের বিশেষ যত্ন: দুর্গন্ধ ও তেলচিটে ভাব দূর করার ৫ সহজ ধাপ