সিবিআইর ৪০ জায়গায় হানা!
দেশে ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ প্রতারণা নিয়ে নতুন করে সতর্কতা জারি করেছে সিবিআই। রাজধানী দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ, হরিয়ানা, রাজস্থান, গুজরাত এবং কেরলসহ দেশের ৪০টি জায়গায় একযোগে অভিযান চালানো হয়েছে।
Technosports – সাইবার সিকিউরিটি আপডেট অনুসারে, এই প্রতারণাচক্রটি আন্তর্জাতিকভাবে পরিচালিত, মূল কেন্দ্র কম্বোডিয়ায়।
কী ধরণের প্রতারণা?
| বিষয় | বিস্তারিত |
|---|---|
| চক্রের কার্যক্রম | ভিডিও কল বা ফোন কলের মাধ্যমে ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ বলে সাধারণ মানুষকে প্রতারণা করা। |
| লক্ষ্য | দেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্কের গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া। |
| ব্যবহৃত প্রযুক্তি | প্রায় ১৫,০০০ আইপি অ্যাড্রেস বিশ্লেষণ করে চক্রের মূল কেন্দ্র চিহ্নিত করা। |
| অর্থ লেনদেন | হাওয়ালার মাধ্যমে বিদেশে টাকা প্রেরণ, দেশের এটিএম থেকে কিছু অংশ উত্তোলন। |
| ধনশালী ব্যক্তি/গোষ্ঠী | কম্বোডিয়া থেকে সংগঠিত চক্র, ৪০ জন মূল সন্দেহভাজন। |
সিবিআই অভিযান ও তথ্য সংগ্রহ
- ডিজিটাল যন্ত্র: মোবাইল, ল্যাপটপ।
- নথিপত্র: KYC ডকুমেন্ট, সিম কার্ড, হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথন।
- উদ্ধার অর্থ: অভিযোগ অনুযায়ী, প্রায় ৪.৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।
CBI Official Website থেকে জানা গেছে, অভিযানে সংগ্রহ করা তথ্য তদন্তকে শক্তিশালী করেছে।
সচেতনতার পরামর্শ
- সাইবার প্রতারণা এড়াতে আইফোরসি (ICCC) এর অ্যাডভাইজরি মেনে চলা জরুরি।
- ভিডিও কল বা ফোন কলের মাধ্যমে কেউ যদি গ্রেফতার হুমকি দেয়, তা সম্পূর্ণ প্রতারণা।
- সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকতে ব্যক্তিগত তথ্য, OTP বা ব্যাংক ডিটেইলস শেয়ার না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
Technosports – সাইবার সচেতনতা টিপস
উপসংহার
দেশে ডিজিটাল প্রতারণার চক্র দ্রুত আন্তর্জাতিক হয়ে উঠছে। সিবিআইর এই অভিযান সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার গুরুত্ব স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। কম্বোডিয়া থেকে পরিচালিত এই চক্র দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় আঘাত হানছে, তাই ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণ এবং সরকারি নির্দেশিকা মেনে চলা অতীব জরুরি।
আরও পড়ুন:
আপনি চাইলে আমি এটিকে ইনফোগ্রাফিকসহ ভিজ্যুয়াল ব্লগ পোস্ট আকারেও তৈরি করতে পারি, যেখানে দেশের মানচিত্রে ৪০টি অভিযানের জায়গা ও কম্বোডিয়া কেন্দ্র দেখানো থাকবে।
আপনি কি সেটা চাইবেন?

