শেষ চেষ্টায় মুখরক্ষা নীরজের!
মাত্র এক সপ্তাহ আগেই দোহায় ইতিহাস গড়েছিলেন নীরজ চোপড়া—জ্যাভলিন ছুড়েছিলেন ৯০.২৩ মিটার দূরত্বে, যা ছিল তাঁর কেরিয়ারের সেরা। সেই পারফরম্যান্সের পর পোল্যান্ডের প্রতিযোগিতায় তাঁকে ঘিরে প্রত্যাশা ছিল আকাশছোঁয়া। সবাই ভেবেছিল এবার সোনা নিশ্চিত। কিন্তু ফিনিশিং লাইনে এসে কিছুটা হতাশ হতে হলো ভক্তদের। যদিও শেষ থ্রোয়ে দুর্দান্ত কামব্যাক করে মুখরক্ষা করেছেন এই অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন।
পোল্যান্ডে অনুষ্ঠিত এই আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিক্স মিটে নীরজের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জার্মানির জুলিয়ান ওয়েবার এবং গ্রেনাডার অ্যান্ডারসন পিটার্স। শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি নীরজের জন্য। প্রথম চারটি প্রচেষ্টার মধ্যে তিনটিই ছিল ফাউল। শুধুমাত্র দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় তিনি ছুঁড়েছিলেন ৮১.২৮ মিটার। এরপর পঞ্চম থ্রোয়ে একটু উন্নতি করে পৌঁছলেন ৮১.৮০ মিটারে।
এদিকে ওয়েবার দ্বিতীয় থ্রোতেই ৮৬.১২ মিটার দূরত্বে জ্যাভলিন ছুড়ে এগিয়ে যান। পিটার্সও দ্বিতীয় ও তৃতীয় থ্রোয়ে যথাক্রমে ৮১.৪৮ এবং ৮৩.২৪ মিটার ছুড়ে নীরজকে টপকে যান। ফলে নীরজ তখন তৃতীয় স্থানে।
চূড়ান্ত ফলাফলের আগে পরিস্থিতি ছিল টানটান। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন তো সহজে হার মানে না। নীরজ নিজের ষষ্ঠ ও শেষ থ্রোয়ে তুলে আনেন ৮৪.১৪ মিটার। এই থ্রোই তাঁকে ফেরায় দ্বিতীয় স্থানে এবং নিশ্চিত করে রুপোর পদক।
যদিও ৯০ মিটারের পারফরম্যান্সের পর এই ফল ভক্তদের মধ্যে কিছুটা হতাশা এনে দিয়েছে, তবু শেষ মুহূর্তে যেভাবে নিজেকে প্রমাণ করলেন, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। একজন চ্যাম্পিয়নের মানসিক দৃঢ়তা, চাপের মুখে ফিনিশিং টাচ—সবকিছুই ফুটে উঠেছে তাঁর এই পারফরম্যান্সে।
এই নিয়ে টানা দুটি আন্তর্জাতিক মিটে রুপো জিতলেন নীরজ। দোহা এবং পোল্যান্ড—দুটি আলাদা মঞ্চ, আলাদা প্রতিদ্বন্দ্বী, কিন্তু নীরজ ছিলেন সব সময় লড়াইয়ের কেন্দ্রে। তাঁর এই ধারাবাহিকতা বড় টুর্নামেন্টগুলোর আগে ভারতীয় অ্যাথলেটিক্সের জন্য নিঃসন্দেহে ভালো বার্তা।
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের সম্ভাবনা, আগামী সপ্তাহে দক্ষিণের ছয় জেলায় মুষলধারে বৃষ্টি