মাতৃত্বের গভীরতা তুলে ধরলেন বরুণ ও জাহ্নবী!
মাতৃত্বের আবেগ সব কিছুর ঊর্ধ্বে। সন্তানের ভালোবাসায়, ত্যাগে, স্নেহে গড়া এই সম্পর্কের মাহাত্ম্য প্রতি বছর মাতৃদিবসে উদ্যাপিত হয়। কিন্তু এ বছরের মাতৃদিবসের আবহ কিছুটা আলাদা। সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যে, দেশের জন্য নিজের সন্তানকে উৎসর্গ করা মায়েদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশেষ বার্তা দিয়েছেন বলিউডের দুই তারকা বরুণ ধওয়ান ও জাহ্নবী কপূর।
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর যখন সীমান্ত পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে, তখন বরুণ ও জাহ্নবী একসঙ্গে স্মরণ করলেন সেই সব মায়েদের, যাঁদের সন্তান দেশের জন্য শহিদ হয়েছেন। এ দিনটিকে তাঁরা উৎসর্গ করলেন সেই মায়েদের উদ্দেশে, যাঁরা আজও ছেলের শোক বুকে নিয়ে মাথা উঁচু করে বেঁচে আছেন।
বরুণ ধওয়ান নিজের ইনস্টাগ্রামে একটি পুরনো ভিডিও শেয়ার করেন, যেখানে দেখা যাচ্ছে রাষ্ট্রপতির হাত থেকে সম্মান গ্রহণ করছেন শহিদ সেনাদের মায়েরা। চোখে জল, মুখে গর্ব— সেই মায়েদের আবেগ ছুঁয়ে যায় সবাইকে। বরুণ এই ভিডিওর সঙ্গে লিখেছেন,
“আন্তর্জাতিক মাতৃদিবসে আমার শ্রদ্ধা সেই সব মায়েদের জন্য, যাঁরা তাঁদের সন্তানদের এই দেশের জন্য উৎসর্গ করেছেন।”
এই ভিডিওই নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ভাগ করে নিয়েছেন অভিনেত্রী জাহ্নবী কপূর। একটিও কথা না লিখলেও, সেই মুহূর্তের গুরুত্ব বোঝাতে শব্দের প্রয়োজন হয়নি তাঁর।
এমনই সময়ে অন্য তারকারাও মাতৃত্বের মাহাত্ম্য নিয়ে বার্তা দিয়েছেন। অভিনেত্রী সোনম কপূর লিখেছেন,
“মায়ের প্রার্থনায় আমি ভালবাসার প্রতিটি ভাষা শুনেছি। তাঁর যাত্রা আমাকে শিখিয়েছে— জাতি, ধর্ম বা সীমানা নয়, মাতৃত্বই আসল পরিচয়।”
তিনি তাঁর মাতৃভক্তিকে মিলিয়ে দিয়েছেন ভারতমাতার প্রতিচ্ছবির সঙ্গে, যা নিঃসন্দেহে একটি সাহসী এবং সংবেদনশীল বার্তা।
অন্য দিকে, করিনা কপূর মাতৃত্বের কষ্ট এবং ত্যাগের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন,
“একজন মাকে কখনও ছোট করবেন না। পৃথিবী শেষ হয়ে যেতে পারে যে যন্ত্রণায়, একজন মা সেই যন্ত্রণা প্রতিদিন বয়ে নিয়ে বেড়ান।”
এই সমস্ত বার্তায় একটি বিষয় স্পষ্ট— মাতৃত্ব কেবল একটি সম্পর্ক নয়, এটি এক গভীর শক্তি, এক নির্ভীক আত্মত্যাগের প্রতীক। বিশেষ করে শহিদদের মায়েদের চোখে সেই মাতৃত্বের আসল রূপ ধরা পড়ে— যেখানে ব্যক্তিগত শোককে ছাপিয়ে ওঠে দেশের প্রতি ভালোবাসা।
বরুণ ও জাহ্নবীর এই উদ্যোগ শুধু একটি আবেগঘন শ্রদ্ধার্ঘ্য নয়, বরং নতুন প্রজন্মকে দেশের প্রতি দায়িত্ববোধ শেখানোর একটি স্পষ্ট বার্তা। তাঁদের এই উদাহরণ আরও একবার মনে করিয়ে দেয়, সত্যিকারের নায়কেরা শুধু সিনেমার পর্দায় থাকেন না, বাস্তব জীবনেও তাঁদের দায়িত্ব ও সহানুভূতিতে জ্বলে ওঠেন।