Sunday, December 7, 2025

রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের অভিনব অভিবাদন, প্ল্যাটফর্ম ফাঁকা!

Share

রেলমন্ত্রী অশ্বিনী

সম্প্রতি কেরলের আলুভা স্টেশনে পৌঁছানোর পর রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মন্ত্রীমশাই প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে হাতে হাত নেড়ে উপস্থিত লোকজনকে অভিবাদন জানাচ্ছেন, কিন্তু আশেপাশে তেমন কোন লোকজন নেই। এই ঘটনাটি নিয়ে নানা মতামত প্রকাশিত হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে, এবং অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন যে, ফাঁকা প্ল্যাটফর্মে হাত নেড়ে তিনি কি উদ্দেশ্যে সাড়া দিতে চাচ্ছেন।

রবিবার সকালে, বিশেষ ট্রেনে কেরলের আলুভা থেকে রেল পরিকাঠামো পরিদর্শনে বেরিয়েছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দক্ষিণ রেলের জেনারেল ম্যানেজার আরএন সিংহ, তিরুঅনন্তপুরম বিভাগের বিভাগীয় রেল ম্যানেজার মণীশ থাপলিয়াল এবং অন্য উচ্চপদস্থ কর্তারা। এই পরিদর্শনের উদ্দেশ্য ছিল কেরলে রেলের পরিকাঠামো এবং স্টেশন উন্নয়ন প্রকল্পগুলি পর্যালোচনা করা।

স্থানীয় নেতাদের উপস্থিতি

আলুভা স্টেশনে পৌঁছানোর পর রেলমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান সাংসদ বেনি বেহানান, বিধায়ক আনোয়ার সাদাথ, পুরসভার চেয়ারম্যান এবং স্থানীয় কাউন্সিলররা। এই স্থানীয় নেতাদের উপস্থিতিতে রেলমন্ত্রী রেলকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের খোঁজ-খবর নেন। যদিও প্ল্যাটফর্মে উপস্থিত জনতার সংখ্যা খুবই কম ছিল, তবুও মন্ত্রী স্টেশন থেকে বেরোনোর সময় হাত নেড়ে তাদের অভিবাদন জানানোর চেষ্টা করেন।

মন্ত্রীর হাত নাড়ার প্রতিক্রিয়া

ভিডিওটি পোস্ট করার পর থেকেই সামাজিক মাধ্যমে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। কিছু নেটিজেন মজার ছলে মন্তব্য করেছেন, “মন্ত্রীর হাত নাড়া যেন ভুতের সঙ্গে কথা বলার মতো!” অন্যরা বলছেন, “এভাবে হাত নাড়লে তো একেবারে জনতার অভাব প্রতিফলিত হচ্ছে।” ফাঁকা প্ল্যাটফর্মে এরকম অভিবাদন দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।

একদিকে, মন্ত্রীর কার্যকলাপ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে, অন্যদিকে, স্থানীয় রাজনীতিবিদদের মধ্যে আলোচনা সৃষ্টি করেছে। কেরলে রেল যোগাযোগের উন্নয়ন এবং স্টেশনগুলোর আধুনিকায়ন নিয়ে পরিকল্পনা চলছে। তবে স্থানীয় জনগণের মধ্যে এইসব প্রকল্পের জন্য যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়ে যাচ্ছে।

রেলের উন্নয়নে লক্ষ্য

কেরলের রেলমন্ত্রী হিসাবে অশ্বিনী বৈষ্ণবের দায়িত্ব হল রেলের পরিকাঠামো উন্নয়নকে সামনে নিয়ে আসা। কিন্তু যখন এমন একটি পরিস্থিতিতে জনগণের উপস্থিতি এত কম থাকে, তখন তা প্রকল্পগুলোর সফলতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। মন্ত্রী যখন মসৃণ উন্নয়নের কথা বলেন, তখন জনগণের উপস্থিতি এবং তাদের প্রতিক্রিয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

জনগণের সঙ্গে যোগাযোগের প্রয়োজন

রেলমন্ত্রী এই ঘটনাটি সামনে এনে জনগণের সঙ্গে আরও ভালো যোগাযোগের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে। জনগণের সমর্থন এবং অংশগ্রহণ ছাড়া কোন উন্নয়ন প্রকল্প সফল হতে পারে না। সেই জন্য স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো এবং জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা জরুরি।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

আগামী দিনে কেরলে রেল পরিকাঠামোর উন্নয়ন এবং স্টেশন উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ বাড়ানো জরুরি। তারা যদি সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশীদার হন, তাহলে তাদের অভিব্যক্তি ও সমর্থন প্রকল্পগুলোর সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

অর্থাৎ, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের হাত নাড়া শুধু একটি ফাঁকা প্ল্যাটফর্মে সৌজন্য দেখানোর বিষয় নয়, বরং এটি দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ, জনগণের অংশগ্রহণ এবং উন্নয়ন পরিকল্পনার সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত। আশা করা যায়, তিনি এই পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নিয়ে কেরলের রেল পরিকাঠামোর উন্নয়নকে আরো ত্বরান্বিত করবেন।

Read more

Local News