Thursday, July 17, 2025

“যুদ্ধ বন্ধ না করলে ব্যবসা বন্ধ!” — মোদীর ভাষণের আগেই হুঁশিয়ারি দিলেন ট্রাম্প

Share

মোদীর ভাষণের আগেই হুঁশিয়ারি দিলেন ট্রাম্প!

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জাতির উদ্দেশে ভাষণের ঠিক আগেই চমকপ্রদ মন্তব্য করে বসলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি জানান, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলা উত্তেজনার অবসানে যুক্তরাষ্ট্র বড় ভূমিকা নিয়েছে। তার কথায়, “আমরাই দু’পক্ষকে চাপ দিয়েছিলাম সংঘর্ষ বন্ধ করতে। সাফ বলে দিয়েছিলাম—যুদ্ধ থামাও, না হলে বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাবে!”

ট্রাম্প দাবি করেন, এক ভয়াবহ সংঘর্ষের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ—ভারত ও পাকিস্তান। কারও থামার লক্ষণ ছিল না। সেই পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ করে আমেরিকা জানায়, “তোমরা যদি শান্ত না হও, তাহলে আমাদের সঙ্গে কোনও ব্যবসা হবে না।” তাঁর কথায়, এই হুঁশিয়ারিই ছিল দুই দেশের যুদ্ধ থামানোর অন্যতম প্রধান কারণ।

তিনি আরও বলেন, “আমি যেভাবে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে কৌশল হিসেবে ব্যবহার করি, তা আর কেউ পারে না। ভারত ও পাকিস্তান দু’পক্ষই বুঝে গেছে—যুদ্ধ বন্ধ না করলে বড় মূল্য দিতে হবে।”

ট্রাম্প এও জানান, আমেরিকার এই মধ্যস্থতার জেরে একটি তাৎক্ষণিক সংঘর্ষবিরতি কার্যকর হয়েছে, এবং তিনি আশা করছেন, এটি স্থায়ীভাবে বজায় থাকবে। তাঁর মতে, এই সংঘাত আরও কিছুদিন চললে লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণহানি হতে পারত।

বক্তব্যে তিনি মার্কিন প্রশাসনের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং এই শান্তিপ্রচেষ্টায় ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স এবং বিদেশসচিব মার্কো রুবিওর অবদানের কথাও তুলে ধরেন। ট্রাম্প জানান, ভারত ও পাকিস্তান—উভয় দেশের সঙ্গেই যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যেই বাণিজ্য বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছে। ভারতের সঙ্গে আলোচনা চলছে, এবং পাকিস্তানের সঙ্গেও খুব শিগগিরি তা শুরু হবে।

এই মন্তব্যের ঠিক আধ ঘণ্টা পর, রাত ৮টায়, প্রধানমন্ত্রী মোদী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। সেখানে তিনিও স্পষ্ট করে জানান, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ এবং পাকিস্তানের আগ্রাসনের জবাব দেওয়ার প্রশ্নে ভারত আপস করবে না।

ট্রাম্প যদিও প্রথমে সংঘর্ষবিরতির কথা ঘোষণা করেছিলেন তাঁর নিজস্ব সমাজমাধ্যম হ্যান্ডলে। এরপর পাকিস্তান থেকে আসে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি, তারপর ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রী সরকারি ভাবে যুদ্ধবিরতির কথা জানান। রবিবারও নিজের সমাজমাধ্যমে এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, “ভারত ও পাকিস্তান বুঝে গেছে, এখনই আগ্রাসন থামানোর সময়। নয়তো আরও মৃত্যু ও ধ্বংস অনিবার্য।”

তাঁর পোস্টে আরও একটি ইঙ্গিত ছিল—যদিও তখনও এ বিষয়ে কোনও আলোচনা হয়নি, তবুও তিনি দুই দেশের সঙ্গেই বাণিজ্য আরও বাড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

সব মিলিয়ে, মোদীর বক্তৃতার আগেই ট্রাম্পের এই হুঁশিয়ারি এবং নিজের ভূমিকা তুলে ধরার কৌশল আন্তর্জাতিক মহলে বেশ চর্চার জন্ম দিয়েছে। যুদ্ধ এবং কূটনীতির মাঝখানে আবারও নিজের ‘ডিলমেকার’ ভাবমূর্তিকেই সামনে আনলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বিরাট কোহলির বিদায়: এক অধ্যায়ের সমাপ্তি, রেখে গেলেন প্রশ্নের রেশ

Read more

Local News