মমতা-সফরের আগে খগেন মুর্মুর পরিবারের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের কথা!
রাজ্য রাজনীতিতে নতুন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। জলপাইগুড়ির নাগরাকাটায় দুর্গত এলাকায় বিক্ষোভের মুখে পড়ে রক্তাক্ত হওয়ার পর মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সচিবালয় (PMO) নিজে থেকেই যোগাযোগ করে তাঁর পরিবারের সঙ্গে। একদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাসপাতালে গিয়ে খোঁজ নেন সাংসদের, অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী দফতরের ফোন — ফলে রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।
📞 পিএমওর তৎপরতা: কী বললেন মোদীর অফিস?
মঙ্গলবার সকালেই পিএমও-র আধিকারিকেরা খগেন মুর্মুর স্ত্রী মঞ্জু মুর্মু ও তাঁর সন্তানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। তাঁদের জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী ঘটনাটি গভীরভাবে লক্ষ্য করেছেন এবং সমস্ত সাহায্য দিতে প্রস্তুত। বিজেপি সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রী নিজে আক্রান্ত সাংসদের ভিডিয়ো দেখেছেন এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
🗣️ “যে ভাবে দলের সহকর্মীরা জনগণের সেবায় গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন, তা তৃণমূলের অসংবেদনশীলতার প্রমাণ,” — লিখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর এক্স হ্যান্ডলে।
🩸 ঘটনাটির পটভূমি
| বিষয় | বিস্তারিত |
|---|---|
| ঘটনা | নাগরাকাটায় ত্রাণ দিতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ |
| ফলাফল | খগেনের মাথায় গুরুতর আঘাত, হাসপাতালে ভর্তি |
| রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া | প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী দু’জনেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন |
| তৃণমূলের অবস্থান | দল জানিয়েছে, “হামলা কাম্য নয়” |
⚖️ রাজনৈতিক সমীকরণ: মোদী বনাম মমতা?
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালে গিয়ে খগেনের সঙ্গে দেখা করেন। কিন্তু তার আগেই পিএমওর ফোনে পরিবারের সঙ্গে কথা হয়ে যায়। ফলে দলের অভ্যন্তরে যে অস্বস্তি তৈরি হয়েছিল — তৃণমূলনেত্রীর আগে বিজেপি নেতৃত্বের কেউ খোঁজ না নেওয়ায় — তা অনেকটাই মিটে যায়।
রাজনৈতিক মহলের মতে, প্রধানমন্ত্রীর দ্রুত হস্তক্ষেপ একদিকে দলের কর্মীদের মনোবল বাড়িয়েছে, অন্যদিকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের কঠোর অবস্থানের ইঙ্গিত দিয়েছে।
📰 প্রাসঙ্গিক তথ্য
- ২০২৪ সালের নির্বাচনে এনডিএ সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালেও, প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর সাংসদদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগে জোর দিয়েছেন।
- ঠিক যেমন তমলুকের সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের অসুস্থতার সময় পিএমও দ্রুত হস্তক্ষেপ করেছিল।
- এবার খগেনের ক্ষেত্রেও একই উদাহরণ দেখা গেল, যা বিজেপি সংগঠনের দায়বদ্ধতার প্রতিফলন বলে মনে করছে রাজ্য বিজেপি।
🔗 আরও পড়ুন:
- খগেন মুর্মুর রক্তাক্ত ছবিতে বিজেপির ক্ষোভ ও মোদীর প্রতিক্রিয়া
- রাজ্যের রিপোর্ট তলব কেন্দ্রের, বিজেপি সাংসদ মারধরে তদন্ত দাবি
- ইন্ডিয়া জোটে অস্বস্তি: খগেন মুর্মুর ঘটনায় বিজেপির নতুন প্রচার কৌশল
🌐 প্রাসঙ্গিক সরকারি সূত্র
📌 উপসংহার
খগেন মুর্মুর ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর একযোগে উদ্বেগ প্রকাশ রাজ্য রাজনীতিতে এক নতুন বার্তা দিয়েছে। বিজেপি নেতৃত্ব চাইছে কেন্দ্রীয় কঠোর পদক্ষেপ, আর তৃণমূল চায় সহানুভূতির রাজনীতি। এখন দেখার, এই মানবিক উদ্যোগের আড়ালে কোন দল কতটা রাজনৈতিক সুবিধা আদায় করতে পারে।


