ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে মিথ্যাচারের তৎপরতা!
ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে, পাকিস্তান তাদের যুদ্ধের মঞ্চে শুধুমাত্র সামরিক শক্তি নয়, বরং সামাজিক মাধ্যমের মাধ্যমে ভুয়ো খবর ছড়ানোর অস্ত্রও ব্যবহার করছে। সম্প্রতি, ভারত সরকারের ‘প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো’ (পিআইবি)-এর ফ্যাক্ট চেক শাখা একাধিক বিভ্রান্তিকর এবং মিথ্যাচারমূলক খবরের খণ্ডন করেছে, যা সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ভারতীয় জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
পাকিস্তান যখন একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে জম্মু ও পঞ্জাবে, তখন ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ, তাদের হামলাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। পাকিস্তান দাবি করছে যে, ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পাল্টা আঘাতে তাদের কয়েকটি যুদ্ধবিমান ও ড্রোন ধ্বংস হয়ে গেছে। তবে এর মধ্যেই পাকিস্তান সামাজিক মাধ্যমে এমন কিছু ভুয়ো খবর প্রচার করতে শুরু করেছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং বিভ্রান্তিকর।
পিআইবি তাদের ফ্যাক্ট চেক প্রতিবেদনে জানায় যে, সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো বেশ কয়েকটি ভিডিও এবং পোস্টের সত্যতা যাচাই করা হয়েছে, এবং বেশিরভাগই ছিল বিকৃত বা মিথ্যা। এর মধ্যে একটি ভিডিও ছিল, যা দাবি করা হয়েছিল যে, পাকিস্তান পঞ্জাবের জলন্ধরে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। কিন্তু পরে সেই ভিডিওটি ভুয়ো প্রমাণিত হয়েছে। একইভাবে, আরও একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছিল, যেখানে দাবি করা হয়েছিল, পাকিস্তান ভারতীয় সেনাছাউনি ধ্বংস করেছে। কিন্তু ‘২০ রাজ ব্যাটালিয়ন’ নামে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কোনো ইউনিট নেই বলে এটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।
এছাড়া, ২০২০ সালে লেবাননের বেইরুটে হওয়া একটি বিস্ফোরণের ভিডিও পাকিস্তান ভারতের উপর হামলার ভিডিও হিসেবে ছড়ানো হয়েছিল। এই ভিডিওটি মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে। একই ধরনের আরও একাধিক ভুয়ো খবর সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো হয়েছিল, যেখানে দাবি করা হয়েছিল রাজৌরিতে আত্মঘাতী হামলা হয়েছে, কিন্তু এটি সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা ছিল।
তবে, পাকিস্তানের এই মিথ্যাচার শুধুমাত্র ভিডিও এবং পোস্টের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। একাধিক ফেক চিঠি এবং গুজবও ছড়ানো হয়েছে, যেমন, ভারতের বিমানবন্দরগুলিতে বিশেষ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, যা পরে ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।
ভারতের সরকার এ বিষয়ে জনগণকে সচেতন করেছে এবং মিথ্যাচারে পা না দিতে অনুরোধ করেছে। এই ধরনের বিভ্রান্তিকর খবর শুধু সামাজিক শান্তি ও নিরাপত্তাকে বিপন্ন করে, বরং দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ানোর চেষ্টা করে। ভারতের প্রতি পাকিস্তানের এই তথ্য যুদ্ধের প্রয়োগ নতুন নয়, কিন্তু এখন সামাজিক মাধ্যমের দাপটে এর প্রভাব আরও বেড়ে গেছে।
‘ব্রহ্মস’ নয়, কেন ‘হাতুড়ি’র ঘা? অপারেশন ‘সিঁদুর’-এ ভারত বেছে নিল স্ক্যাল্প ও হ্যামার, কারণ জানেন?