সোনাক্ষীকে নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন দাদা কুশ!
ভাইবোনের সম্পর্ক যেন ভালোবাসার নিখাদ এক ছায়া—তবে সেই ছায়ায় যদি ধর্মের ছায়া পড়ে, তাহলে সম্পর্ক কি টেকে? সোনাক্ষী সিন্হার বিয়ের পরে ঠিক এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছিল বলিপাড়ার অলিগলিতে। এক বছর ধরে মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন সিন্হা পরিবারের অন্যতম সদস্য কুশ সিন্হা। অবশেষে বোনকে নিয়ে মুখ খুললেন তিনিই।
২০২৪ সালে সোনাক্ষী সিন্হা বিয়ে করেন অভিনেতা জ়াহির ইকবালকে। বলিউডের একঝাঁক তারকা, পরিবার ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের নিয়ে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে সম্পন্ন হয় অনুষ্ঠান। বাবা শত্রুঘ্ন সিন্হা এবং মা পুনম সিন্হা উপস্থিত থাকলেও, চোখে পড়েননি সোনাক্ষীর যমজ দুই দাদা—লব ও কুশ। সেই থেকেই গুঞ্জন শুরু—ভিন্ন ধর্মে বিয়েই কি দূরত্ব বাড়িয়েছে ভাইবোনের মধ্যে?
বিয়ের দিন থেকেই নানা ভিডিয়ো ও ছবিতে খুঁজে পাওয়া যায়নি কুশের উপস্থিতির একটিও দৃশ্য। ছাঁদনাতলার মতো আবেগঘন রীতিও পালন করতে দেখা গিয়েছে সোনাক্ষীর বন্ধুবান্ধবদের, যেখানে সাধারণত দাদা বা ভাইয়েরাই সেই ভূমিকা পালন করেন।
এই বিতর্ক নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন কুশ। এক সাক্ষাৎকারে তিনি সাফ জানালেন, “আমি বিয়েতে ছিলাম। ও আমার বোন, আমি ওকে খুব ভালবাসি। যাঁরা বলছেন আমি ছিলাম না, তাঁরা ভুল তথ্য দিচ্ছেন।” তিনি আরও বলেন, “এই সব গুজব আমাকে আর প্রভাবিত করে না। সত্যিই যদি এমন কিছু হত, আমি প্রথমেই মুখ খুলতাম। আমার কাছে পরিবারই প্রথম।”
তবে অনুপস্থিতির কারণ নিয়ে তেমন কিছু বলেননি কুশ। এমনকি তাঁর উপস্থিতির কোনও ছবিও এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে আসেনি। তা সত্ত্বেও কুশের দাবি, তিনি সবসময় বোনের পাশে ছিলেন এবং থাকবেন। পাশাপাশি এটাও জানান, এই ধরনের ভুল তথ্য তাঁর বাবাকেও ব্যথিত করেছে। কুশের কথায়, “বাবা খুব দুঃখ পেয়েছেন এই সব অহেতুক গুজবে। এখন অবশ্য আমরা এই ধরনের পরিস্থিতি সামলানোর মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছি।”
জানা যায়, কুশ বর্তমানে নিজের রাজনৈতিক ও প্রযোজনার কাজে ব্যস্ত। তাই বোনের বিয়েতে সম্পূর্ণ সময় দিতে পারেননি বলেই অনেকের অনুমান।
এই ঘটনা থেকে একটি বার্তা স্পষ্ট—সেলেবদের ব্যক্তিগত জীবন কখনওই সম্পূর্ণভাবে ক্যামেরা বন্দি হয় না। সম্পর্কের গভীরতা কিংবা দূরত্ব নির্ধারণ করা যায় না শুধুমাত্র উপস্থিতি বা ছবির ভিত্তিতে।
🚨 “ধৈর্যের সীমা ছাড়াচ্ছে!”: কর্মীদের হুঁশিয়ারি Nothing-র CEO কার্ল পে-র