গাঁজা উদ্ধার আউশগ্রামে
পূর্ব বর্ধমানে আবারও গাঁজা পাচারের একটি বড় চক্রের সন্ধান পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার আউশগ্রামের ছোড়া এলাকা থেকে ৭৯ প্যাকেট গাঁজা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই অভিযানে মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে পুলিশের ডিস্ট্রিক্ট এসওজি (বিশেষ অভিযান শাখা) এবং আউশগ্রাম থানার যৌথ টিম আউশগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের ১১ মাইল মোড়ের কাছ থেকে দুটি ছোট চারচাকা গাড়ি আটক করে। তল্লাশির পর ওই গাড়ি দুটি থেকে উদ্ধার করা হয় ৮১.২০৫ কেজি গাঁজা, যার মূল্য লক্ষাধিক টাকা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আটক গাড়িগুলির মধ্যে ৭৯টি প্যাকেট গাঁজা ছিল। এছাড়াও, অভিযুক্তদের কাছ থেকে ৩ লক্ষ ২৫ হাজার টাকাও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গাঁজার এই বিপুল পরিমাণ পাচারের ঘটনা আবারও পূর্ব বর্ধমানে মাদক পাচারের এক নতুন রূপরেখা তৈরি করেছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় মামলা রুজু করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতার করার পর পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।
আউশগ্রাম ২ নম্বর ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকের উপস্থিতিতে গাঁজা বাজেয়াপ্তকরণের কাজ সম্পন্ন হয়। অভিযুক্তদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, তারা পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা এলাকা থেকে এই গাঁজা নিয়ে আসছিল এবং আউশগ্রাম এলাকায় পাচারের জন্য আনা হয়েছিল। ডিএসপি সুব্রত মণ্ডল এই বিষয়ে বলেন, “ধৃতদের মধ্যে তিনজন পশ্চিম মেদিনীপুরের এবং তিনজন বীরভূম জেলার বাসিন্দা। তারা পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থেকে গাঁজা নিয়ে আসছিল। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের জন্য আদালতে আবেদন জানানো হবে।”
এখানে উল্লেখযোগ্য যে, পূর্ব বর্ধমান জেলা এখন মাদক পাচারের জন্য এক বড় হটস্পট হয়ে উঠেছে। এর আগে বেশ কয়েকবার পুলিশ এই ধরনের বড় পাচার চক্রের সন্ধান পেয়েছে, তবে গাঁজার পরিমাণ এবং এর সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের সংখ্যা দেখে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, এই ব্যবসা আরও বড় আকার ধারণ করেছে। পুলিশ প্রশাসন এই ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে, কিন্তু স্থানীয়দের কাছে এখনও এই ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে আরও বেশি সচেতনতা ও তৎপরতা দাবি করা হচ্ছে।
পুলিশের এই সাফল্য শুধু আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়ক নয়, বরং মাদক পাচারের বিরুদ্ধে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করবে বলে আশা করা হচ্ছে। তাছাড়া, গাঁজা পাচারের মতো গুরুতর অপরাধে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানানো হচ্ছে যাতে ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা কমিয়ে আনা যায়।
ইডেনে খেলেননি শামি, চেন্নাইয়ে কি খেলবেন? সতীর্থ আরশদীপের মন্তব্যে ধোঁয়াশা


