বাড়ির খাবারেও বাড়তে পারে কোলেস্টেরল!
হার্টের স্বাস্থ্য নিয়ে যতই সচেতন হোন না কেন, অনেক সময় আমরা বুঝতেই পারি না যে বাড়ির রান্নাঘরের কিছু সাধারণ খাবারই কোলেস্টেরল বাড়ানোর জন্য বড় কারণ হতে পারে। বাইরের জাঙ্ক ফুড বা ফাস্ট ফুডের পাশাপাশি বাড়িতে নিয়মিত খাওয়া কিছু খাবারও শরীরের কোলেস্টেরল লেভেল বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি করে। তাই যারা নিজেদের হৃদরোগের ব্যাপারে সচেতন এবং সুস্থ থাকার চেষ্টা করছেন, তাদের জন্য প্রাতরাশে বা জলখাবারে এই পাঁচ ধরনের খাবার থেকে দূরে থাকা জরুরি।
প্রথমেই আসি কেক ও বিস্কিটের কথা। সাধারণত বাড়িতে চা-সঙ্গে স্ন্যাক্স হিসেবে কেক কিংবা বিস্কিটের জোগান থাকে। তবে এই কেক-বিস্কিট সাধারণত তৈরি হয় ময়দা দিয়ে এবং বাজারে পাওয়া অনেক কেক-বিস্কিটে প্রচুর পরিমাণে চিনি ও অস্বাস্থ্যকর পাম অয়েল মেশানো থাকে। এইসব উপাদান কোলেস্টেরল বাড়ানোর মূল কারণ। তাই বাড়ির ছোট থেকে বড় সবাই যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা উচিত।
দ্বিতীয়ত, ময়দা দিয়ে তৈরি চাউ বা প্যাকেটজাত নুডলস। অনেকেই সকালের জলখাবারে এগুলো খেতে পছন্দ করেন। যদিও বাড়িতে ভালো তেলে ভাজা হলেও এগুলো হার্টের জন্য উপকারী নয়। কারণ ময়দাজাতীয় খাবার সবসময়ই কোলেস্টেরল বাড়ায়। আর প্যাকেটজাত নুডলস তৈরির সময় ভাজা হয়, যা স্বাস্থ্যঝুঁকি বহন করে।
তৃতীয় খাবার হলো লুচি ও ময়দার পরোটা। বাংলার ঘরে ছুটির দিনে লুচি-পরোটা প্রাতরাশে খুবই জনপ্রিয়। কিন্তু ডুবো তেলে ভাজা এই খাবারগুলো নিয়মিত খাওয়ার ফলে রক্তে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল বা এলডিএল বেড়ে যায়, যা হার্টের জন্য বিপজ্জনক। তাই যতটা সম্ভব এগুলো খাওয়া কমানো উচিত।
চতুর্থত, কর্নফ্লেক্স। অনেকেই সকালের নাস্তায় কর্নফ্লেক্স খেতে ভালোবাসেন। এটি স্বাস্থ্যকর খাবার বলে ভাবা হলেও বেশিরভাগ কর্নফ্লেক্সেই মেশানো থাকে চিনি ও বিভিন্ন স্বাদবর্ধক পদার্থ। এগুলো প্রক্রিয়াজাত খাবারের অন্তর্ভুক্ত, যা দীর্ঘমেয়াদে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে এবং শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
অবশেষে, পাউরুটি বা ব্রেড। অনেকেই সকালের নাস্তায় পাউরুটির টোস্ট খেয়ে থাকেন। কিন্তু অধিকাংশ পাউরুটিই ময়দা দিয়ে তৈরি এবং বাজারে ‘ব্রাউন ব্রেড’ নামে যেটা পাওয়া যায়, তাতেও মূলত ময়দার পরিমাণই বেশি থাকে। বাদামি রং আনার জন্য এতে কৃত্রিম রং এবং ক্যারামেলাইজড চিনি ব্যবহার করা হয়, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর এবং কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহায্য করে।
সুতরাং, বাড়িতে রান্না করা হলেও এই পাঁচ ধরনের খাবার নিয়মিত প্রাতরাশে বা জলখাবারে খাওয়া হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভাল নয়। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে এগুলো এড়িয়ে চলুন এবং প্রাতরাশে পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর বিকল্প বেছে নিন। সুস্থ জীবনযাত্রার জন্য সচেতনতা আর অভ্যাস পরিবর্তনই আজকের দিনে সবচেয়ে বড় দরকার।
মুম্বইয়ের বৃষ্টিতে ভিজে দীপিকার প্রথম প্রেম: মুজ্জামিল ইব্রাহিমের উজাড় স্মৃতির কথা