র্গাপুর গণধর্ষণকাণ্ডে নতুন মোড়!!
দুর্গাপুরে ডাক্তারি পড়ুয়া নির্যাতিতা তরুণীর মামলায় রহস্য আরও গভীর হচ্ছে। সহপাঠী ও বন্ধুর গ্রেফতারের পর এবার তাঁর হস্টেলের ঘর এবং ঘটনাস্থল — দুই জায়গা থেকেই কন্ডোম উদ্ধার করেছে পুলিশ। এতে নতুন করে প্রশ্ন উঠছে — এই মামলার প্রকৃত চরিত্র ও পরিকল্পনা নিয়ে।
👉 সর্বশেষ খবর ও প্রযুক্তি আপডেটের জন্য পড়ুন bangla.technosports.co.in
🔹 তদন্তে চাঞ্চল্যকর উদ্ধার
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃত সহপাঠীর হস্টেলের ঘর থেকে ১১টি কন্ডোম পাওয়া গেছে। এছাড়া জঙ্গলের ভেতরে ঘটনাস্থল থেকেও একটি অব্যবহৃত কন্ডোম উদ্ধার হয়েছে। যদিও ফরেন্সিক টিম জানিয়েছে, পাওয়া নমুনাগুলোর ওপর DNA টেস্ট চলছে।
| স্থান | উদ্ধার হওয়া সামগ্রী | অবস্থা |
|---|---|---|
| হস্টেলের ঘর | ১১টি কন্ডোম | অব্যবহৃত |
| ঘটনাস্থল (জঙ্গল) | ১টি কন্ডোম | অব্যবহৃত |
| মোট উদ্ধার | ১২টি | ফরেন্সিক পরীক্ষাধীন |
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকালে ধৃত সহপাঠীকে নিয়ে ঘটনাস্থলে পুনর্গঠন করা হয়। তাঁর বয়ান, আগেই ধৃত ৫ অভিযুক্ত এবং নির্যাতিতার বিবৃতির সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। বয়ানে অসঙ্গতি থাকায়ই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল বলে পুলিশ কমিশনার সুনীলকুমার চৌধুরী জানিয়েছেন।
🔹 কী বলছে তদন্তের সূত্র
ঘটনাস্থলটি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে। একটি পাকা রাস্তা থেকে মাটির পথ ঢুকে গেছে জঙ্গলে, যেখানে অপরাধ ঘটে বলে অভিযোগ। তদন্তকারীরা বৃহস্পতিবার সেই এলাকা ঘিরে আরও ৫০ মিটার বাড়িয়েছেন, যাতে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ বাদ না পড়ে।
ফরেন্সিক দলও ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে, যা এখন পরীক্ষাধীন। তবে এখনই তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে পুলিশ মুখ খুলতে চাইছে না।
আরও জানুন:
👉 দক্ষিণবঙ্গে জগন্নাথের পর উত্তরবঙ্গে মহাকাল মন্দির গড়ছেন মমতা
👉 ইপিএফের টাকা তোলার নতুন নিয়ম: কীভাবে পাবেন ১০০% অর্থ
🔹 অভিযুক্তের পটভূমি
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত যুবক মালদহের বাসিন্দা। তাঁর বাবা স্থানীয় কংগ্রেস নেতা ও পঞ্চায়েত সদস্য, যাঁদের নির্মাণসামগ্রী, মাছ ও আমের ব্যবসা রয়েছে। প্রায় গোড়া থেকেই নির্যাতিতার পরিবার ওই যুবকের নাম তদন্তকারীদের কাছে তুলছিল। অবশেষে, তাঁর বয়ানে অসঙ্গতি ধরা পড়তেই তাঁকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করা হয় এবং বুধবার আদালত তাঁকে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠায়।
🔹 উপসংহার
দুর্গাপুর গণধর্ষণ মামলা এখন এক নতুন দিক নিচ্ছে। সহপাঠীর জড়িত থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ফরেন্সিক রিপোর্ট এলে আরও অনেক কিছু পরিষ্কার হবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

