দু’মাসে ৮ কেজি ওজন কমিয়ে তাক লাগালেন রণিত রায়!
পঞ্চান্ন পেরিয়েও শরীরচর্চায় তিনি একেবারে তরুণদের টেক্কা দিতে পারেন। বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা রণিত রায় প্রমাণ করে দিলেন বয়স কেবল একটি সংখ্যা, ইচ্ছাশক্তি থাকলে শরীরকে যেকোনও সময় নতুনভাবে গড়ে তোলা যায়। মাত্র ৬০ দিনের কঠোর পরিশ্রমে তিনি কমিয়ে ফেলেছেন ৮ কেজি ওজন। উদ্দেশ্য একটাই—এক ঐতিহাসিক চরিত্রে নিখুঁত রূপে ধরা দেওয়া। তাঁর এই রূপান্তর আজ অনুপ্রেরণা দিচ্ছে বহু অনুরাগীকে।
৫৯ বছর বয়সে এসেও চরিত্রের প্রয়োজনে রণিত নিয়েছেন এমন এক সিদ্ধান্ত, যা অনেক নবীন অভিনেতাকেও চমকে দিতে পারে। খুব শীঘ্রই একটি টেলিভিশন ধারাবাহিকে পৃথ্বীরাজ চৌহানের বাবার ভূমিকায় দেখা যাবে তাঁকে। রাজকীয় চেহারা ও ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তুলতে রণিত বেছে নিয়েছেন কঠোর রুটিন—দিন শুরু জিমে ঘাম ঝরিয়ে, বিকেলে কার্ডিয়ো, তার ফাঁকে চলেছে মার্শাল আর্ট আর লাঠিখেলার আলাদা প্রশিক্ষণ। যেন এক যুগের রাজা প্রস্তুত হচ্ছেন যুদ্ধক্ষেত্রে নামার আগে।
রণিত বলেন, “আমি চাইনি আমার প্রস্তুতিতে কোনও খামতি থাকুক। আমি বুঝে গিয়েছিলাম, এই চরিত্রের জন্য শুধু শারীরিক প্রস্তুতি নয়, মানসিকভাবে নিজেকে পুরোপুরি তৈরি করাও জরুরি। তাই প্রতিটি দিন, প্রতিটি ঘন্টা ছিল একনিষ্ঠ চর্চায় ভরা।” সেই সঙ্গে ছিলেন কঠোর খাদ্যনিয়মে। একটুও ফাঁকি না দিয়ে মেনে গিয়েছেন নির্ধারিত ডায়েট, যার প্রতিফলন মিলেছে আয়নার সামনে দাঁড়িয়েই।
সপ্তাহের ছয় দিন শরীরচর্চা, প্রতি রবিবার বিশ্রামের দিন। কিন্তু সেই বিশ্রামও যেন তাঁর শরীরের পক্ষে ছিল প্রস্তুতির এক অংশ। পুরো দুই মাসের এই সফর শারীরিক দিক থেকে যেমন পরিশ্রমসাধ্য, তেমনি মানসিকভাবে ছিল গভীর আত্মনিবেশের। রণিত বলেন, “এই রূপান্তর শুধু বাহ্যিক নয়, অভ্যন্তরেও অনেক কিছু বদলে গেছে আমার। নিজের সঙ্গে এক গভীর সম্পর্ক গড়ে তুলেছি এই সময়টায়।”
রণিত রায় নিজের সাফল্যে খুশি হলেও এটিকে মনে করেন এক ধারাবাহিক যাত্রার অংশ। তাঁর মতে, “ফিটনেস এমন এক জিনিস, যা কখনও চূড়ান্ত স্থানে পৌঁছে থেমে যায় না। প্রতিদিন নতুন চ্যালেঞ্জ, নতুন লক্ষ্য।” তিনি আজ প্রমাণ করেছেন যে শৃঙ্খলা, নিয়ম, আর নিজেকে প্রমাণ করার ইচ্ছা থাকলে বয়স কোনও বাধা হতে পারে না।
এই গল্প শুধু এক অভিনেতার রূপান্তরের নয়, এটা সেই প্রতিজ্ঞার গল্প—যা শরীর, মন আর অধ্যবসায়ের মধ্য দিয়ে নিজেকে নতুন করে গড়ে তোলে।
পাতিলেবু খেলে মাইগ্রেন কমে? ডাক্তাররা যা বলছেন ভাইরাল টোটকা নিয়ে