জোড়াবাগানে যুবকের পিঠে
কলকাতার খাস এলাকাগুলোর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান জোড়াবাগানে রবিবার সন্ধ্যায় ঘটে গেল এক আতঙ্কজনক ঘটনা। অমিত সোনকর নামক ৩০ বছর বয়সী এক যুবককে পিঠে ভোজালির কোপ মারার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হামলাকারীরা পিছন দিক থেকে এসে ওই যুবকের পিঠে আঘাত করে এবং দ্রুত পালিয়ে যায়।
এই ঘটনাটি ঘটেছে এমন একটি এলাকায়, যেখানে সাধারণত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজমান থাকে। হামলার পর পরই জোড়াবাগান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং তদন্ত শুরু করে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, হামলার পেছনে পারিবারিক বিবাদ থাকতে পারে।
হামলার পরেই আহত যুবককে দ্রুত কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন। তবে, ঘটনার পরই পুলিশ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। এফআইআর-এর ভিত্তিতে উত্তম সোনকর, সঞ্জয় চক্রবর্তী এবং অবিনাশ সোনকর নামের তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের সঙ্গে তদন্ত চলছে এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে পুলিশ সূত্রে।
এই হামলার ঘটনাটি বিশেষভাবে নজর কাড়ে কারণ, এটি ঘটেছে শহরের এক ব্যস্ততম এলাকায়, যেখানে সাধারণত জনসংখ্যার উচ্চ ঘনত্ব এবং সুরক্ষা ব্যবস্থা তৎপর থাকে। হামলার পরে যখন যুবক আহত হয়ে পড়েন, তখন এলাকার মানুষ দ্রুত তার সাহায্যে এগিয়ে আসেন। তবে, হামলার উদ্দেশ্য এবং এর পেছনের কারণ নিয়ে পুলিশ পূর্ণ তদন্ত করছে।
পুলিশের প্রাথমিক ধারণা অনুযায়ী, পারিবারিক কোনো অশান্তির কারণে এই হামলা হতে পারে। তবে, তদন্ত এখনও চলমান এবং এর বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, হামলার সাথে আরও যারা জড়িত থাকতে পারে তাদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
এছাড়া, সন্ত্রাসী হামলার মতো এই ধরনের ঘটনা কলকাতার মতো শহরে নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলছে। শহরের মধ্যে প্রকাশ্যে এ ধরনের আক্রমণ ঘটনা মানুষকে ভয় পেতে বাধ্য করছে। পুলিশ প্রশাসন এই ধরনের হামলার ঘটনা রোধ করার জন্য আরও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
তবে, এই ঘটনায় সঠিক তদন্তের পরই হামলার কারণ এবং অভিযুক্তদের বিষয়ে আরও স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যাবে। পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হামলার পেছনে যে কারণে ঘটেছে তা সামনে আনা তাদের প্রধান লক্ষ্য।
কলকাতা শহরের এই ধরনের ঘটনাগুলিতে আরও সচেতনতা সৃষ্টি হওয়া জরুরি। যাতে ভবিষ্যতে কোনও ধরনের অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে, তা যেন দ্রুত রোধ করা যায়।


