‘মেডিটেরেনিয়ান ব্লু’, ১০ ক্যারাটের হিরের দাম ১৮৪ কোটি!!
দেখতে ছোট্ট একটুকরো নীল আভা, ওজন মাত্র ১০.০৩ ক্যারাট। কিন্তু তার মূল্য? শুনলে চোখ কপালে উঠবে! সদেবির জেনিভা নিলামঘরে বুধবার বিক্রি হল ‘মেডিটেরেনিয়ান ব্লু’ নামের এক দুর্লভ নীল হিরে—যার দাম উঠল ২ কোটি ১৫ লক্ষ ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৮৪ কোটি টাকা! এটাই ২০২৫ সালের এখনও পর্যন্ত বিক্রি হওয়া অন্যতম দামী রত্ন।
এই হিরে শুধু দামেই নয়, ভ্রমণেও রাজকীয়। বিশ্বের নানা প্রান্তে প্রদর্শনীর পর অবশেষে নিলামে উঠল সে। প্রথমে রাখা হয়েছিল আবু ধাবির ‘হাই জুয়েলারি ফ্যাশন’ প্রদর্শনীতে, যেখানে বিশ্বের সেরা অলংকারপ্রেমীরা এর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হন। এরপর হিরেটি ঘুরে আসে এশিয়া ও আমেরিকার বিভিন্ন শহরে। প্রতিটি জায়গাতেই দর্শনার্থীদের মধ্যে দারুণ সাড়া ফেলে।
সদেবির তরফে জানানো হয়েছে, হিরেটির প্রতি আগ্রহ এতটাই ছিল যে নিলামের দিন একাধিক সংগ্রাহকের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত এক মার্কিন সংগ্রাহক সবার উপরে দর হাঁকিয়ে এটি নিজের ব্যক্তিগত সংগ্রহে তোলেন।
তবে এর পেছনের গল্পটাও কম চমকপ্রদ নয়। হিরেটির জন্ম দক্ষিণ আফ্রিকার বিখ্যাত কালিনান খনিতে, ২০২৩ সালে। তখন এটি ছিল ৩২ ক্যারাট ওজনের একটি বড় পাথর। সেই পাথরকে ‘রত্ন’ করে তুলতে সময় লেগেছে প্রায় ৬ মাস। বিশেষজ্ঞদের দল গবেষণা, কাটা, পালিশ এবং নিখুঁত কারুকার্যের মাধ্যমে সেটিকে রূপ দেন এক কুশনের মতো আকৃতির হিরেতে—যার নাম হয় ‘মেডিটেরেনিয়ান ব্লু’।
এই রত্নটি কেবলমাত্র দামের দিক থেকে নয়, রঙের দিক থেকেও একেবারে বিরল। নীল হিরে পৃথিবীতে খুবই কম পাওয়া যায়। আর তার মধ্যে যদি রঙটা হয় এতটাই নিখুঁত ও দীপ্তিময়, তাহলে সেটি এক প্রকার শিল্পকর্ম হিসেবেই বিবেচিত হয়।
আজকালকের ‘হাই জুয়েলারি ফ্যাশন’ দুনিয়ায় এ ধরনের রত্ন মানেই স্টাইল, রাজকীয়তা আর বিনিয়োগ—তিনের সমন্বয়। ঠিক যেমন মুকেশ অম্বানির পরিবারের সদস্যরা কিংবা মেট গালায় অংশ নেওয়া আন্তর্জাতিক তারকারা, যারা বিলাসবহুল রত্নপত্র পরে নজর কাড়েন। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন ‘মেডিটেরেনিয়ান ব্লু’, যার ঝলকানি বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রে।
বিরাটের বিদায়ের পর অনুষ্কার আবেগ, ব্যথিত মাইকেল ভন ও ক্রিকেটের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা