গোধূলি লগ্নে নতুন জীবনের সূচনা দিলীপ ঘোষ!
তিনি বরাবরই পরিচিত নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকার জন্য। রাজনীতি হোক বা ব্যক্তিজীবন, নিজের পথে চলতে বিশ্বাসী প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার সন্ধ্যায় সেই পথেই এক নতুন মোড়— গোপনে, ঘরোয়া আয়োজনে বিয়ে করলেন তিনি। পাত্রী রিঙ্কু মজুমদার। জায়গা— নিউ টাউনের নিজের ফ্ল্যাট।
দিলীপ ঘোষ বাড়িতেই ছাঁদনাতলা, সাক্ষী শুধুই কাছের মানুষ
দিলীপ ঘোষের ফ্ল্যাটেই বসে বিয়ের আসর। উপস্থিত ছিলেন দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠ জন মাত্র। সাদা ধুতি-পাঞ্জাবি আর মাথায় টোপর পরে বর হিসেবে উপস্থিত দিলীপ। কনের সাজও ছিল সাবেক বাঙালিয়ানায়— লাল বেনারসি, শোলার মুকুট, কপালে টিপ।
রিঙ্কুর আগের পক্ষের এক ছেলে রয়েছেন— সৃঞ্জয়। যদিও তিনি উপস্থিত থাকতে পারেননি, তবে ফোনে মায়ের সিদ্ধান্তে খুশির কথা জানান এবং উপহারের কথাও বলেন।
বিয়ের পেছনে মা ও দায়িত্ববোধ
দিলীপ জানিয়েছেন, বিয়ের সিদ্ধান্ত একান্তই তাঁর মা পুষ্পলতা ঘোষের ইচ্ছেতে। নিজের দায়িত্ব আরও ভালোভাবে পালন করতেই এই পথ বেছে নেওয়া। তবে তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন— বিয়ের পরেও রাজনীতির ময়দান ছাড়ছেন না।
নববধূর প্রতিশ্রুতি, পাশে থাকার বার্তা
রিঙ্কু নিজেও বিজেপির কর্মী। স্বামীর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাজনীতির ময়দানে পাশে থাকবেন বলেই জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, “পার্টি ওকে যেভাবে দেখতে চায়, সেভাবেই পাশে থাকব।”
আড়ম্বরহীন আয়োজন, তবু আন্তরিকতা উপচে পড়া
বিয়েতে হাইপ্রোফাইল কোনো রাজনৈতিক নেতাকে দেখা যায়নি। খাবার ছিল বাঙালিয়ানায় ভরপুর— লুচি, তরকারি, পোলাও, একটি মাছের পদ, আর শেষে মিষ্টি। মাংসের আয়োজন ছিল না। দিলীপ নিজেই প্রত্যেক অতিথিকে উপহার দিয়েছেন— কেউ পেয়েছেন ধুতি, কেউ পাজামা-পাঞ্জাবি।
মধুচন্দ্রিমার পরিকল্পনা, জন্মদিনেও রুটিন বজায়
শনিবারই দিলীপের জন্মদিন। বিয়ের পরদিনও প্রাতঃভ্রমণে বের হওয়ার কথা তাঁর। রিঙ্কু থাকবেন রীতি মেনে বাড়িতেই। পরে হিমাচলের কোনো নিরিবিলি পাহাড়ি জায়গায় মধুচন্দ্রিমার পরিকল্পনা রয়েছে নবদম্পতির।
রাজনৈতিক কর্মসূচি ঠিক আগের মতো
বিয়ের পরদিনই আবার রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেবেন দিলীপ। দমদমে তাঁর একটি সভা রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, “গত ৪০ বছর ধরে যেমন ঘুরে বেড়াচ্ছি, তেমনই চলবে।”
শুভেচ্ছায় ভরে উঠল ঘর
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফুল পাঠিয়েছেন শুভেচ্ছা জানিয়ে। দলের নেতা সুকান্ত মজুমদার, লকেট চট্টোপাধ্যায় সহ অনেকে উপহার নিয়ে উপস্থিত হন দিলীপের বাড়িতে। তবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ব্যক্তিগতভাবে যাননি, জানান, দলের তরফে শুভেচ্ছা পাঠানো হয়েছে।
ঘরোয়া আয়োজন হলেও, এই বিবাহ অনুষ্ঠান দিলীপ ঘোষের জীবনের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা— দায়িত্বের সঙ্গে ভালোবাসার বন্ধন এবার তাঁর পথ চলায় নতুন মাত্রা যোগ করল।
এসএসসি নিয়োগে আসছে বড় পরিবর্তন: পরীক্ষার্থীরা এবার উত্তরপত্রের কার্বন কপি পাবেন!
