গবেষণার আড়ালে সামরিক পরিকল্পনা?
দক্ষিণ চিন সাগরের ছয় হাজার ফুট গভীরে নির্মিত হতে চলেছে বিশ্বের প্রথম গভীর-সমুদ্র গবেষণাকেন্দ্র। তবে এটি কি শুধুই গবেষণার জন্য, নাকি গোপন সামরিক ঘাঁটি তৈরির ছক?
এই প্রশ্নই এখন ভাবিয়ে তুলেছে আন্তর্জাতিক মহলকে। কারণ, চিন আগেও গবেষণার নামে সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়েছে দক্ষিণ চিন সাগরে। এবার সমুদ্রের অতলে তাদের এই ‘মহাকাশ স্টেশন-সদৃশ’ প্রকল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে তীব্র বিতর্ক।
কীভাবে তৈরি হবে এই গবেষণাকেন্দ্র?
📌 ছয়জন বিজ্ঞানী একসঙ্গে এক মাস পর্যন্ত থাকতে পারবেন এখানে।
📌 চরম গভীরতাতেও ক্ষতিগ্রস্ত হবে না এমনভাবে গঠন করা হচ্ছে।
📌 উন্নত নজরদারি ব্যবস্থা: থাকবে জাহাজ, ডুবোজাহাজ ও সেন্সর-সজ্জিত প্রযুক্তি।
📌 ফাইবার-অপ্টিক প্রযুক্তির মাধ্যমে দ্রুতগতির যোগাযোগ ব্যবস্থা।
📌 এআই (AI) প্রযুক্তি ব্যবহার করে চলবে গবেষণা ও নজরদারি।
চিনা সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যেই এই গবেষণাকেন্দ্র সম্পূর্ণভাবে চালু হবে।
গবেষণা নাকি অন্য কিছু?
চিন জানিয়েছে, এই কেন্দ্র মিথেন গ্যাস নিঃসরণের প্রভাব, সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য ও ভূমিকম্পের আগাম সংকেত নিয়ে গবেষণা করবে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি শুধু গবেষণার জন্য নয়, বরং বিস্তৃত সামরিক ও গোয়েন্দা কার্যক্রমের অংশ হতে পারে।
📌 আন্তর্জাতিক উদ্বেগের কারণ:
- দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের একাধিপত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা দীর্ঘদিনের।
- যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও জাপানের সঙ্গে বহুদিন ধরে এই অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারের লড়াই চলছে।
- সমুদ্রের তলায় রাডার মোতায়েন ও নজরদারি বাড়ানো এরই অংশ হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যেখানে চিন অতীতে ‘গবেষণা জাহাজের’ ছদ্মবেশে নজরদারি চালিয়েছে, সেখানে সমুদ্রের গভীরে এমন স্থায়ী কেন্দ্র তৈরি তাদের সামরিক প্রভাব আরও বাড়াতে পারে।
বিশ্বের প্রতিক্রিয়া ও ভবিষ্যৎ
চিনের এই প্রকল্পের ঘোষণা আসার পরই যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, জাপান ও অন্যান্য দেশ সতর্ক দৃষ্টি রেখেছে।
📌 ইউএস নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তা বলেছেন,
“এটি শুধুই গবেষণার জন্য তৈরি হচ্ছে, এমন ভাবার কোনও কারণ নেই।”
📌 ভারত মহাসাগর অঞ্চলে ভারতও নিজের উপস্থিতি শক্তিশালী করছে এবং গভীর সমুদ্র গবেষণায় বিনিয়োগ বাড়িয়েছে।
২০১৩ সালে জন্ম, ২০২৫-এ অস্তিত্বের লড়াই! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেই কি রোহিত শর্মার শেষ পরীক্ষা?