উত্তরবঙ্গ সফরের আগে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়!
উত্তরবঙ্গে সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পুনর্গঠন ও ত্রাণের কাজ নিয়ে ফের সক্রিয় রাজ্য সরকার। রবিবার কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, “রাজ্য সরকার কেন্দ্রের সাহায্যের জন্য বসে থাকে না। আমরা নিজের উদ্যোগেই পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু করেছি।”
তিন দিন আগেই বিপর্যস্ত অঞ্চল ঘুরে দেখার পর কলকাতায় ফিরেছিলেন তিনি। আর আজ, রবিবার আবার রওনা দিলেন উত্তরবঙ্গের উদ্দেশে। মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, আলিপুরদুয়ারে একটি প্রশাসনিক সভা করবেন, যেখানে বিপর্যয় মোকাবিলা ও পুনর্গঠন নিয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনা হবে।
📋 মুখ্যমন্ত্রীর মূল ঘোষণা এক নজরে
| বিষয় | ঘোষণা |
|---|---|
| ত্রাণ কার্যক্রম | বিপর্যয় এলাকায় ত্রাণ পৌঁছে গেছে, নতুন ঘর তৈরির কাজ শুরু |
| ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সাহায্য | প্রতি পরিবারে ₹১,২০,০০০ বরাদ্দ |
| সেতু ও অবকাঠামো মেরামত | মিরিকের ভাঙা সেতু ৭–৮ দিনের মধ্যে তৈরি হবে |
| কর্মীদের পুরস্কার | বিপর্যয় মোকাবিলায় ভাল কাজ করা কর্মীদের পুরস্কৃত করা হবে |
| নথিপত্র পুনরুদ্ধার | ক্ষতিগ্রস্ত নাগরিকদের কাগজপত্র পুনর্নবীকরণের ব্যবস্থা হবে |
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “রোহিণী এলাকাতে ইতিমধ্যেই পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। মিরিকের যে সেতুটি ভেঙে পড়েছিল, সেটিও দ্রুত ঠিক করা হচ্ছে।”
তিনি জানান, রাজ্য সরকারের পক্ষে যত দ্রুত সম্ভব ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির পাশে দাঁড়ানোই এখন প্রধান লক্ষ্য।
🏗️ পুনর্গঠন ও ত্রাণের অগ্রগতি
সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে নতুন ঘর নির্মাণে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসনিকভাবে একাধিক জেলায় পুনর্গঠনের পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। মমতা আরও জানান, “যাঁদের নথিপত্র নষ্ট হয়ে গেছে, তাঁদের নতুন করে তৈরি করতে প্রশাসন সহযোগিতা করবে।”
উত্তরবঙ্গে রাজ্য সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ইতিমধ্যেই স্বস্তির হাওয়া বইছে।
🔗 প্রাসঙ্গিক তথ্যসূত্র
- Government of West Bengal Official Portal
- West Bengal Disaster Management & Civil Defence Department
- Press Information Bureau – Government of India
📰 আরও পড়ুন
শেষ কথা:
উত্তরবঙ্গে বিপর্যয়ের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্রুত পদক্ষেপ দেখাচ্ছে, রাজ্য সরকার কেন্দ্রের অপেক্ষা না করে নিজস্ব উদ্যোগেই মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে। এবার নজর থাকবে — কত দ্রুত পুনর্গঠন সম্পন্ন হয় এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষরা তাদের ঘরে ফিরতে পারেন।


